"এতদিন কি ঘুমচ্ছিল? মোদি-শাহ ছাড়া তো কারও কথাই কানে তোলে না কমিশন", ভোট দিয়ে বেড়িয়েই রণংদেহী মেজাজে নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। একেবারে স্পষ্ট ভাষাতেই বিঁধলেন কমিশনকে। প্রসঙ্গ, বাংলার অতিমারী পরিস্থিতি।
রাজ্যের বাড়ন্ত করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি প্রশাসনের কপালের ভাঁজ ক্রমশ প্রশস্ত করছে। অক্সিজেন নেই, রোগীদের বাঁচানোর জন্য হাসপাতালগুলিতে রীতিমতো হাহাকার। এমতাবস্থায় ভোট প্রক্রিয়া চলছে নির্বিঘ্নে। তবে রাজ্যের শাসকদলের তরফে নির্বাচন কমিশনের (EC) কাছে আর্জি রাখা হয়েছিল, বাকি ৩ দফার ভোট একদফায় করার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে কমিশন। অন্যদিকে, ভোটপ্রচারের ময়দানেও কোভিড সুরক্ষাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মোদী-মিঠুনের জনসভা নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) তাঁর সমস্ত সভা বাতিল করতেই কমিশনের তরফে নির্বাচনী প্রচারে রাশ টানার নির্দেশ আসে। নজর এড়ায়নি তৃণমূল (TMC) সাংসদ নুসরত জাহানের। অতঃপর সোমবার ভোট দিয়ে বেড়িয়েই কমিশনকে তোপ দাগলেন তিনি।
নুসরতের মন্তব্য, "যেখানেই প্রচার করতে গিয়েছি, সেখানেই জনতার মুখে শুধুমাত্র আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই সমর্থন দেখেছি। এতদিন ঘুমচ্ছিল কেন নির্বাচন কমিশন? যখন প্রধানমন্ত্রী সব জনসভা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন, তখনই কমিশনের সব মিটিং-মিছিল বাতিল করার কথা মনে পড়ল! কমিশন প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়া তো কারও কথাই কানে তোলে না।" বাংলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মোদী-শাহকেও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না তিনি।
প্রসঙ্গত, আজ সোমবার রাজ্যের সপ্তম দফা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সকালবেলাই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে এসেছেন তৃণমূল সাংসদ। গোলাপী সালোয়ার, মুখে মাস্ক পরে দেখা গেল নুসরতকে। প্রথমবার ভোটার আইকার্ড নিয়ে যেতে ভুলে গেলেও তারপর ফের বাড়ি থেকে পরিচয়পত্র নিয়ে এসে ভোট দিলেন। তবে ভোট দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। বাংলার ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জন্য মোদী-শাহকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তৃণমূলের সাংসদ অভিনেত্রীর সাফ মন্তব্য, "দেশের গণতন্ত্র বাঁচাতে ভোট দিন। ঘাসফুলে ছাপ দিন। আরও একবার তৃণমূল ২০০ পার।"