ভোটের মুখে তৃণমূলে তারকাদের যোগদানের পালা অব্যাহত। সংগীতশিল্পী অদিতি মুন্সির পর বৃহস্পতিবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন অভিনেত্রী সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়। যিনি কিনা একদা ভারতীটয় জনতা পার্টির একনিষ্ঠ সমর্থক বলেই পরিচিত ছিলেন। গত লোকসভা ভোটের সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তবে মাস খানেক ঘুরতে না ঘুরতেই গেরুয়া-মোহ ভঙ্গ হয়েছে তাঁর। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পদ্ম শিবিরের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে দল ছেড়েছিলেন সুভদ্রা। এবার টেলিভিশনের সেই জনপ্রিয় অভিনেত্রীই কিনা যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবুজ শিবিরে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের নারী ও শিশুকল্য়াণ মন্ত্রী শশী পাজার উপস্থিতিতে সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে নেন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা। জোড়াফুল শিবিরে যোগ দিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভপ্রকাশ অব্যাহত। গেরুয়া শিবিরকে 'ফ্যাসিস্ট' বলেও আক্রমণ করেন অভিনেত্রী।
সুভদ্রা জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ'-এর স্লোগান শুনেই যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মোহভঙ্গ হয়েছে অনেক আগেই। যাঁদের মনুষ্যত্ব আছে, তারা বিজেপি ছেড়ে দেবেন। মেয়ের জন্মদিনে ভাল কাজ করা উচিত ভেবেই তিনি বিজেপি ছেড়েছেন। যে সমস্ত মানুষের মনুষ্যত্ব রয়েছে, প্রত্যেকের তৃণমূলে (TMC) আসা উচিত বলে মত সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়ের।
বিজেপির প্রতি তোপ দেগে সুভদ্রার মন্তব্য, "এই দলের মতো একটা ফ্যাসিস্ট পার্টির থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। আমি চাই পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে। পশ্চিমবঙ্গকে আবার সবুজ করে তুলতে। চাই না উত্তরপ্রদেশের গঠনে তৈরি হোক আমাদের বাংলা। তা হলে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গ আর থাকবে না। একেবারে শেষ হয়ে যাবে।"
রাজ্য-রাজনীতিতে 'দলবদলু'দেরও বিঁধেছেন অভিনেত্রী। খানিকটা যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তীর সুর টেনেই তাঁর মত, "যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন, তাঁরা খুব ভালো করছেন। আরও আগে করলে ভাল করতেন। অন্তত দুষ্টু গরুগুলো বেরিয়ে যেত। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। ভাষাকে বাঁচাতে হবে। বিজেপি এলে বাংলা ভাষা বলে কিছু আর থাকবে না! কী খাবেন সেটাও ওরা ঠিক করে দেবে।"