'মণিকর্নিকা' ছবির সাফল্যের পর ছবির নায়িকা তথা সহ পরিচালিকা কঙ্গনা রানাওয়াত ঠিক করেছেন, নিজের বায়োপিক, অর্থাৎ জীবনী, পরিচালনা করবেন তিনি নিজেই। কঙ্গনা বলেছেন, "হ্যাঁ! এটা সত্যি। আমার নিজের জীবনের কাহিনীই আমার পরবর্তী পরিচালনা। কিন্তু এটা প্রপাগান্ডা ছবি নয়, যেখানে চরিত্রগুলো কেবল সাদা-কালো। এটা আমার জীবনের গল্প, এর মধ্যে অনেক নরম মূহুর্ত রয়েছে। আমার চারপাশের মানুষজন ভালবেসেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। আমাকে বিনা শর্তে গ্রহণ করেছেন।"
সূত্রের খবর, বায়োপিকের কাহিনী লিখছেন 'বাহুবলী' খ্যাত চিত্রনাট্যকার কে ভি বিজয়েন্দ্র। যিনি 'মণিকর্নিকা'-ও লিখেছেন। কঙ্গনা আরও বলেন, "প্রায় ১২ সপ্তাহ আগে বিজয়েন্দ্র আমার জীবনকে কেন্দ্র করে একটা ছবি লেখার কথা বলেন। আমি প্রথমে ভয় পেয়ে গেলেও পরে বিজয় স্যারের দৃঢ়তার ওপর ভরসা করে প্রজেক্টটা এগিয়ে নিয়ে যেতে দিলাম।"
আরও পড়ুন: মোদীর বায়োপিকে অমিত শাহের ভূমিকায় কে জানেন?
২০০৬ এ 'গ্যাংস্টার' ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় কঙ্গনা রানাওয়াতের। এরপর একে একে 'লাইফ ইন আ মেট্রো', 'ফ্যাশন', 'তনু ওয়েডস মনু', 'কুইন'-এর মতো ছবিতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। কুইন তিনটি জাতীয় পুরস্কার পায়। ৩১ বছরের জীবনে প্রচুর বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। কখনও হৃতিক রোশনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে করণ জোহরের সঙ্গে কফির আড্ডায় মুখ খুলে, তো কখনও বলিউডে নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ নিয়ে কথা বলে শিরোনামে আসেন কঙ্গনা।
এমনকী তার প্রথম পরিচালনা নিয়েও কঙ্গনাকে বিঁধতে পিছুপা হননি মানুষ। অভিনেত্রী বলেন, "জনগণকে বাদ দিয়ে আমার জার্নি কীভাবে দেখাব? একা তো হেঁটে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু আমি কারও নাম নেব না। সমস্ত ধরনের চড়াই উতরাই পার করে কীভাবে নিজেকে সামলেছি, সেটাই মুখ্য বিষয় হবে। ছবির শেষে একজন বিজয়ী মেয়ের গল্প বলা হবে, যে পাহাড় থেকে বলিউডে এসে মাথার ওপরে কোনও গডফাদারের হাত ছাড়াই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করেছে।" তবে আপাতত 'মেন্টাল হ্যায় ক্যায়া?' ও 'পাঙ্গা', এই দুটি ছবি নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী।
Read the full story in English