সীমান্ত-কাঁটাতার পেরিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের অন্নদাতাদের জন্য আওয়াজ তুলেছেন মার্কিন পপ তারকা রিহানা এবং কিশোরী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। গোটা বিশ্বকে তাঁরা চোখে আঙুল দিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে আজকের প্রেক্ষিতে এই কৃষক আন্দোলন কতটা প্রাসঙ্গিক এবং কেন এই বিষয়ে সরব হওয়া প্রয়োজন। যা স্বাভাবিকবশতই গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার রিহানা, গ্রেটার মতো অস্কারজয়ী অভিনেত্রী সুজান সার্যান্ডনও (Susan Sarandon) কৃষকদের হয়ে সুর চড়ালেন। দেশের কৃষক বিক্ষোভ যে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ময়দানেও বেজায় চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে, তা বলাই বাহুল্য।
কৃষক আন্দোলন নিয়ে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনই টুইটারে শেয়ার করে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সুর চড়ালেন সুজান সার্যান্ডন। টুইটে তিনি লেখেন, ''ভারতের কৃষক আন্দোলনের জন্য আমার সহমর্মিতা রইল। এখানে পড়ুন, ওরাঁ কারা? কেনই বা ওঁদের এই আন্দোলন।'' সুজান সার্যান্ডনের এমন টুইটের পরই তা দাবানল গতিতে ভাইরাল হতে থাকে। নেটজনতারাও একের পর এক ভারতের কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মত দিতে থাকেন। এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ সার্যান্ডনের টুইটে লাইক করেছেন। কমেন্ট করেছেন প্রায় ৭ হাজার জনেরও বেশি। ভারতের কৃষকদের এই আওয়াজ যে ক্রমশই আন্তর্জাতিক স্তরে আরও জোরালো হয়ে উঠছে, অস্কারজয়ী অভিনেত্রীর টুইট-ই তার প্রমাণ।
প্রসঙ্গত, কৃষক আন্দোলন রুখতে দুর্গে পরিণত করা হয়েছে দিল্লিকে। বিক্ষোভকারীদের শায়েস্তা করতে রাজধানীর তিন সীমানায় এখন কাঁটাতার, ব্যারিকেডের ঘেরাটোপ। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের খেটে খাওয়া মানুষগুলির এমন আন্দোলন দেখছে গোটা বিশ্ব। ভারতের কৃষক আন্দোলন সাড়া ফেলেছে আন্তর্জাতিক ময়দানেও। তবে আন্তর্জাতিক সীমানার পারের এই হস্তক্ষেপকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না মোদী সরকার। গেরুয়া শিবিরের কথায়, “ভারত-বিরোধী মিথ্যা কোনও প্রোপাগান্ডার ফাঁদে পা দেওয়া উচিত নয়। একত্রিত হয়ে এই বিদেশি অপপ্রচার রুখতে হবে।” ইতিমধ্যেই রিহানা এবং গ্রেটার সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা।