New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/13/3knx2j9QNMsyApeKYMBv.jpg)
ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা মনে এল লেখিকার... Photograph: (ফাইল চিত্র )
Ahmedabad Air India Plane Crash 2025: তসলিমা সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর দুঃস্বপ্নের কথা। এবং একটা পাখি কীভাবে মানুষের জীবন শেষ করে দিল, সেটাই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না।
ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা মনে এল লেখিকার... Photograph: (ফাইল চিত্র )
Taslima Nasrin on Plane Crash: গতকাল যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গিয়েছে আহমেদাবাদে, তারপর থেকে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। এতগুলো মানুষ, শুধু শুধু প্রাণ হারালেন কর্তৃপক্ষের গাফলতির জন্য। প্লেন যাকে সবথেকে নির্ভরযোগ্য পরিবহন হিসেবে সারা বিশ্বে দেখা হয়, তাতে যদি মানুষের প্রাণের কোনও ভরসা না থাকে, তাহলে সময় খুব সঙ্গীন। এবং এই নিয়েই ফের একবার মন্তব্য করে বসেছেন তসলিমা নাসরিন। তিনি বর্তমানে ভারতের বাসিন্দা। এবং লেখিকা ভারতের এই ঘটনায় সাংঘাতিক শোকাহত।
তসলিমা সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁর দুঃস্বপ্নের কথা। এবং একটা পাখি কীভাবে মানুষের জীবন শেষ করে দিল, সেটাই যেন বিশ্বাস হচ্ছে না। তিনি লিখছেন... "ছোট্ট পাখি, অথচ কী ভীষণ কাণ্ড ঘটিয়ে দিতে পারে। আহমেদাবাদ থেকে এয়ার ইণ্ডিয়ার যে বিমানটি লণ্ডনে যাচ্ছিল, সেটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিম লাইনার, পৃথিবীর নিরাপদতম বিমান। বিমানটি খুব পুরোনও নয়। যান্ত্রিক গোলযোগ থাকার সম্ভাবনাও কম। ক্যাপ্টেনও ছিলেন অভিজ্ঞ। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন এই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার কারণ হয়তো পাখির আঘাত। ২৪২ জন যাত্রী ছিল বিমানে। একজন ছাড়া বাকি সবাই এখন মৃত।" এরপরই নিজের জীবনে হওয়া এক ভয়ঙ্কর ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছিলেন, সেই নিয়েই জানালেন তিনি। এমনি এক বিমান দূর্ঘটনা তাঁকে হতভম্ব করে দিয়েছিল। তিনি লিখছেন...
"মনে পড়ছে ২০০৯ সালের কথা। আমি তখন হাডসন নদীর তীরে ম্যানহাটনের এক বিল্ডিংএ ২৩ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকি। ওই ফ্ল্যাট থেকেই দেখেছি ইউ এস এয়ারওয়েজের একটি বিমান হাডসনে ল্যাণ্ড করলো, হুলস্থুল পড়ে গেল চারদিকে। যাত্রীদের বের করে আনা হচ্ছিল ভেতর থেকে। যাত্রীরা বেঁচেছিল ক্যাপ্টেন বুদ্ধি করে হাডসনের জলের ওপর ল্যাণ্ড করেছিলেন বলে। লা গোয়ার্ডিয়া এয়ারপোর্ট থেকে টেক অফের সময় বিমানটির ইঞ্জিন এক ঝাঁক পাখির আঘাতে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ক্যাপ্টেন যদি তক্ষুণি ল্যান্ড না করতেন, তাহলে বিমানে বিস্ফোরণ ঘটতো, বিমানের কেউ বেঁচে থাকতে পারতো না।"
তিনি আরও লিখলেন.. "দিনের বেলায় যে বিমানগুলো ওড়ে, সেগুলোয়, মূলত টেক অফ আর ল্যান্ডিংয়ের সময় পাখির আঘাত লাগে। পাখি সাধারণত দিনের বেলায় ওড়ে, তাছাড়া টেক অফ আর ল্যাণ্ডিং এর সময় নিচের আকাশে থাকে বিমান, পাখির ওড়াওড়ি নিচের আকাশেই। পাখির আঘাতে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে বিমান আর ওপরের দিকে উড়তে পারে না। মৃত্যু ওত পেতে আছে সর্বত্র। আমরা যে বেঁচে আছি, এটাই হয়তো মিরাকল।"