ঐন্দ্রিলার মরদেহ এসে পৌঁছল তাঁর কুদঘাটের বাড়িতে। এখনও সঙ্গে রয়েছেন সব্যসাচী। উপস্থিত হয়েছেন টলিপাড়ার অনেকেই। রয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
বিকেল ৫টা নাগাদ তাঁর মরদেহ বের করা হয় হাসপাতালে। ফুলের সাজে সে এল, তবুও ফিরল না। দেওয়া হয়েছে গোলাপী বেনারসী। যেন ঠিক রাজকন্যার বিদায়। একসঙ্গে অনেক মুহূর্ত কাটিয়েছেন এই আবাসনে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা। আবাসনের নয়, সে যে ঘরের মেয়ে। মাত্র ২৪ বছরেই চিরঘুমে, না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা।
আরও পড়ুন < হাসপাতাল থেকে বের করা হল ঐন্দ্রিলার মরদেহ, আজই শেষকৃত্য কেওড়াতলায় >
শববাহী গাড়ির একদম সামনেই বসে রয়েছেন সব্যসাচী। যেন কিছুই ফিরে পাওয়ার নেই। কঠোর অনুভূতি, কাছের মানুষকে হারিয়ে ফেলার যন্ত্রণা। ঐন্দ্রিলার সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনিও। চোখের জলও বোধহয় শুকিয়ে গেছে তাঁর। ঐন্দ্রিলাকে ঘিরে রেখেছেন তাঁর আবাসনের এবং কাছের মানুষরা। শেষবারের মত চোখের জলে বিদায় দিতে এসেছেন তাঁদের মিষ্টিকে। এরপর যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। জানা যাচ্ছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হবে ঐন্দ্রিলার।
অভিনেত্রীকে নিয়ে আবেগঘন পাড়া-প্রতিবেশীদের সকলেই। আবাসনের দুর্গাপুজোয় থাকতেন সক্রিয় ভূমিকায়। টেলি পুরস্কার জিতেছিলেন। ফিরেছিলেন বারবার। ২০২১ এর ক্যানসারের পরেও ভেঙে পড়েননি তিনি। আনন্দের সঙ্গে সমস্ত কাজ করতেন। তাঁর কুঁদঘাটের বাড়িতে গিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ইতিমধ্যে ভিড় হাসপাতাল চত্বরে। তাঁকে শেষবারের মত দেখতে এসেছেন অনেকেই।