টানা কুড়ি দিনের লড়াই শেষে না ফেরার দেশে ঐন্দ্রিলা। বিশ্বাস করতে পারছেন কাছের মানুষরা কেউই। বহরমপুরের বাড়িতে বড় হয়ে ওঠা, সেখানকার মানুষরাও আশায় বুক বেঁধেছিলেন ফিরে আসবেন তাঁদের মিষ্টি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
দুবার ক্যানসারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে আচমকা ব্রেন স্ট্রোক কেড়ে নিল অভিনেত্রীর প্রাণ। বিকেল ৪:৪৫ নাগাদ তাঁর মরদেহ বের করে আনা হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে কুদঘাটের বাড়িতে। তারপর টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। জানা যাচ্ছে, কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হবে ঐন্দ্রিলার। কফিনবন্দি হয়েই বাড়ির উদ্দেশ্যে শেষবারের মত যাত্রা করলেন ঐন্দ্রিলা।
আরও পড়ুন < ‘ঐন্দ্রিলার লড়াই দৃষ্টান্ত’, অভিনেত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা >
তাঁর বহরমপুরের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন পাড়া প্রতিবেশী অনেকেই। কিন্তু বাড়িতে তালা, সবাই অভিনেত্রীর সঙ্গেই কলকাতায় রয়েছেন। তবে, তাঁকে বহরমপুরে নিয়ে যাওয়া হবে না এইকথা শুনতেই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন সকলে। চিরঘুমে ঐন্দ্রিলা, শোকে মূহ্যমান সব্যসাচী।ব্যাক্তিক্রম নন আবাসনের বাসিন্দারাও।
অভিনেত্রীকে নিয়ে আবেগঘন পাড়া-প্রতিবেশীদের সকলেই। আবাসনের দুর্গাপুজোয় থাকতেন সক্রিয় ভূমিকায়। টেলি পুরস্কার জিতেছিলেন। ফিরেছিলেন বারবার। ২০২১ এর ক্যানসারের পরেও ভেঙে পড়েননি তিনি। আনন্দের সঙ্গে সমস্ত কাজ করতেন। তাঁর কুঁদঘাটের বাড়িতে গিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ইতিমধ্যে ভিড় হাসপাতাল চত্বরে। তাঁকে শেষবারের মত দেখতে এসেছেন অনেকেই।