কথা দিয়েছিলেন নিজে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর ফেরা হল না সব্যসাচীর। সবসময় নিজের কাছে আগলে রাখতেন তিনি, তবে আজ কাছের মানুষটা যে আর নেই।
দীর্ঘ এতদিনের লড়াই, একের পর এক হার্ট অ্যাটাক, নতুন সংক্রমণ ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস হারালেও নিজের ভালবাসায় অগাধ আস্থা ছিল তাঁর। রাতের পর রাত শুধুই কাছের মানুষটার ছোট্ট হাতটা ধরে বসে থেকেছেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না, চিরদিনের মত একা করে চলে গেল ঐন্দ্রিলা। নিজ দায়িত্বে একের পর এক আপডেট দিতেন তিনি। বড়মার ওপর আস্থা ছিল গভীর। তবে গতকাল রাত থেকেই অবস্থার অবনতি, আর যেন পারলেন না লড়াই চালাতে।
আরও পড়ুন < হাসপাতাল থেকে বের করা হল ঐন্দ্রিলার মরদেহ, আজই শেষকৃত্য কেওড়াতলায় >
ছয়দিনের মাথাতেই সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, যেভাবে নিজে হাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন সেভাবেই তাঁকে সুস্থ করে সঙ্গে নিয়ে ফিরবেন। কথা রাখলেন না ঐন্দ্রিলা, হাজারো লড়াই করেও পারলেন না। বিফলে গেল সব প্রার্থনা, আকুতি। হেরে গেল ভালবাসাও। দুদিন আগেও এক বিস্তারিত পোস্টে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আশার খবর দিয়েছিলেন তবে, আজ বেলা গড়াতেই সব শেষ। অদম্য জেদ হার মানল নিয়তির কাছে।
চিকিৎসায় খামতি থাকেনি। ভেন্টিলেশন সাপোর্ট, সিপিআর সব দিয়েও বাঁচানো গেল না। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সমস্ত পোস্ট মুছে ফেলেছিলেন সব্যসাচী। আতঙ্ক ঘিরে ধরেছিল তখনই। টানা ১০বার হার্ট অ্যাটাক, দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ। ক্যানসারকে হারালেও এবার যেন আর পেরে উঠলেন না। সকলের প্রার্থনা, ভালবাসা উপেক্ষা করেই সব্যসাচীকে বিদায় জানালেন ঐন্দ্রিলা।