পুরোপুরি বিপন্মুক্ত না হলেও ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ঐন্দ্রিলা শর্মার। উদ্বিগ্ন অনুরাগীদের সুখবর দিলেন বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরি। যিনি কিনা নিজেও অভিনেত্রীর সঙ্গে একনাগাড়ে হাসপাতালে লড়ে যাচ্ছেন। আর প্রহর গুনছেন যুদ্ধজয়ের। কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা এখন? হাসপাতাল থেকে খবর দিলেন সব্যাসাচী।
'বামাক্ষ্যাপা' অভিনেতা লিখলেন, "হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হল আজ। ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়। যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। গলা চিনতে পারে। হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়। দরদর করে ঘাম হয়। হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম। এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।"
এর পাশাপাশি সব্যসাচী এও যোগ করলেন যে, "আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়ো ভিডিও আর ফেক্ থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি। সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি। অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।"
<আরও পড়ুন: আগামী ২ বছর কোনও পরিচালনার কাজ করব না: অনির্বাণ ভট্টাচার্য>
তবে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আশঙ্কা এখনও শেষ হয়নি সব্যসাচীর। তাই বললেন, "‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে। কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।"
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অস্ত্রোপচারও হয় অভিনেত্রীর। এরপরই কোমা চলে যান তিনি। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা তাঁর আরোগ্যকামনায় রত হয়েছিলেন। এমনকী সব্যসাচীও অঙ্গীকার করেছিলেন যে, “নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে ওকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।” এবার ১ সপ্তাহের মাথায় সুখবর দিলেন ঐন্দ্রিলার বন্ধু অভিনেতা। অভিনেত্রী এখন ভেন্টিলেশন মুক্ত।