সোমবারই ঐন্দ্রিলা শর্মার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে সুখবর দিয়েছিলেন সব্যসাচী চৌধুরি। অভিনেত্রীর বিশেষ বন্ধু জানিয়েছিলেন যে, ভেন্টিলেশন সাপোর্ট থেকে বের করা হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। তাতেই আশার আলো দেখছিলেন অনুরাগীরা। তবে চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই হাসপাতালের তরফে জানা গেল অন্য কথা!
ঐন্দ্রিলা শর্মাকে সিপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ভেন্টিলেশন সাপোর্টের মাত্রা কমানো হয়েছে। কারণ অভিনেত্রীর রক্তচাপ, শ্বাসপ্রশ্বাস, রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন স্বাভাবিক। যদিও স্নায়ুর ক্ষেত্রে কোনও হেরফের হয়নি! রক্তে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এখনই পুরোপুরি বিপন্মুক্ত নন অভিনেত্রী।
তবে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকেরা। জ্বর নেই। অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। রক্তপরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন ডাক্তাররা। আর ভাল বলতে, অভিনেত্রী চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে এখনও আশঙ্কামুক্ত নন তিনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধেবেলাই উদ্বিগ্ন অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, "ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়। যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সঙ্গে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। গলা চিনতে পারে। হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়। দরদর করে ঘাম হয়। হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম। এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।”
<আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশন থেকে বেরলেন ‘যোদ্ধা’ ঐন্দ্রিলা, হাসপাতালে যুদ্ধজয়ের প্রহর গুণছেন সব্যসাচী>
অন্যদিকে ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা জানিয়েছিলেন, সব্যসাচী সামনে থাকলেই একমাত্র সাড়া দিচ্ছেন তিনি। তবে বান্ধবীকে নিয়ে আশঙ্কা এখনও কাটেনি ‘বামাক্ষ্যাপা’ অভিনেতার। সব্যাসাচী এদিন লেখেন, “‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে। কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ব্রেন স্ট্রোক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অস্ত্রোপচারও হয় অভিনেত্রীর। এরপরই কোমা চলে যান তিনি। রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী থেকে অনুরাগীরা তাঁর আরোগ্যকামনায় রত হয়েছেন। এখন অপেক্ষা শুধু ঐন্দ্রিলার বাড়ি ফেরার।