আটকে রাখতে পারলেন না কাছের মানুষটাকে। হাজার লড়াইয়ের পরেও সে চলে গেল না ফেরার দেশে। ঐন্দ্রিলা আর নেই, নিজে হাতে বাড়ি নিয়ে ফেরা হল না সব্যসাচীর। বুক ফেটে গেলেও একটুও কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা গেল না।
টানা ২০ দিনের লড়াই, কিন্তু শেষরক্ষা হল না। টেকনিশিয়ান স্টুডিও থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেওড়াতলা মহাশ্মশান। অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন সব্যসাচী এবং ঐন্দ্রিলার বাবা। রাত আটটা নাগাদ অস্থি বিসর্জন হয় অভিনেত্রীর। গঙ্গার ঘাটের কাজকর্ম শেষ করে কাঠ হয়েই ফিরে এলেন সব্য। কাছের মানুষকে হারানোর যন্ত্রণা প্রবল, কিন্তু সহ্য করে যাচ্ছেন প্রতিটা মুহূর্ত।
শেষ বেলার ট্রেম তখন হুইসেল মারছে। একটু থমকে দাঁড়ালেন সব্য। বেশ কিছুক্ষন একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলেন গঙ্গার দিকে। মনের মানুষটার শেষ পরিণতির দিকে চেয়ে রইলেন বেশ কিছুক্ষন। তবে ফিরতে যে হবেই। একা পথ চলার অভ্যেস করতে হবে। বন্ধুরা সঙ্গে ছিলেন। তাঁরাই সঙ্গে নিয়ে ফিরলেন সব্যকে।
আরও পড়ুন < মৃত্যুর পরও পাশে প্রেমিক, ঐন্দ্রিলার বাবার সঙ্গে মুখাগ্নি করলেন সব্যসাচীও >
গঙ্গার ঘাটে দেখা মিলল রাজ চক্রবর্তীরও। নিজের দায়িত্বে সমস্ত কাজ করেছেন তিনি। মন্ত্রি অরুপ বিশ্বাসও গিয়েছিলেন। আজ আর কিছু পাওয়ার নেই। সমস্ত ভালবাসা, চেষ্টা এবং প্রার্থনা বিফলে। প্রানের চেয়েও প্রিয় সব্যর মায়া কাটিয়ে ঐন্দ্রিলা পাড়ি দিয়েছেন পরপারে।
প্রসঙ্গত, শেষ সময়েও তাঁকে আগলে রেখেছিলেন সব্যসাচী। নিয়ম মেনে ঘি এর ছোঁয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই পালন করেছেন। শেষ মুহূর্তে পা জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতেও দেখা গেছে সব্যসাচীকে। সকলের বক্তব্য একটাই, সব ঐন্দ্রিলার একজন করে সব্যসাচী থাকুক।