সেদিন, সময়টা ঠিক এমনি। বেলা গড়াতেই সকলকে হারিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। কাজ করেনি কোনও আশীর্বাদ, কোনও প্রার্থনা। হাজার আকুতি, মিনতি সবকিছুর পরেও ফুটফুটে বছর ২৪ এর মেয়েটি রাজবেশে পাড়ি দিয়েছিল ওপারে।
Advertisment
আজ, একটা বছর। গোটা একটা বছর পার করেও সব্যসাচী ঐন্দ্রিলাতেই মগ্ন। ভালবাসা বোধহয় এটাই। এভাবেই হয়তো ভালবাসা যায়। সবাই রয়েছে, কিন্তু তাঁর মিষ্টিটা নেই। সব্যর আজ মন ভালো নেই। কিন্তু, সবার আগে যিনি, সেই মায়ের আজ অনেক দায়িত্ব। মেয়ে একবছর শারীরিকভাবে নেই তো কী হয়েছে, তাঁকে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেছেন। তাই তো মেয়ের জন্মদিনে সকাল থেকে অন্তত ২৫টা গাছ লাগিয়েছেন তিনি।
ঐন্দ্রিলার মা শিখাদেবী এখন বেশিরভাগ সময় বহরমপুরে থাকেন। আজকের দিনটাকে তিনি এজীবনে কোনোদিন ভুলতে পারবেন না। শিখাদেবী সংবাদমাধ্যমে বলেন...
আজকের দিনটা আমার পক্ষে ভোলা সম্ভব না। সকাল থেকে ২৫টা গাছ লাগিয়েছি। আমার মেয়েটার এই বছর ২৫ সম্পূর্ন হলো। কিছু বস্ত্র দান করব। গরীব দুঃস্থ মানুষদের খাওয়াবো। আর কিই বা করার আছে। মনে পড়ছে, গতবছর এমন সময় কত কঠিন পরিস্থিতি। আমার মেয়েটার শ্বাস চলছিল, ও বেচেঁ ছিল।" টানা ২০ দিনের লড়াই। বেশ কয়েকবার ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক... কিন্তু লড়াই ছাড়েননি তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি।
নভেম্বরের ১ তারিখেই শেষবার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ঐন্দ্রিলা। দিব্যি খাওয়াচ্ছিলেন দুই পোষ্যকে। তাঁর আগে, সব্যসাচীর জন্মদিন পালন করেছিলেন। আর ঐন্দ্রিলার কথা যখন হচ্ছে, সেই মানুষটির কথা উঠবে না যিনি শেষ মুহূর্ত অবধি পাশে ছিলেন তাঁর। শিখাদেবী বলেন...
"সব্যর সঙ্গে কথা হয়েছিল কাল। ও আমায় এটাই বলল যে, সবাই রয়েছে শুধু আমার মিষ্টি নেই'। এতকিছুর সঙ্গে তাঁদের বিয়ের কত প্ল্যানিং ছিল সেকথাও বললেন প্রয়াত অভিনেত্রীর মা। বলেন, "এবছর মার্চ মাসের ১২ তারিখ ওদের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। খুব হয়তো আয়োজন করতাম না। রেজিস্ট্রি করেই হত। সব্যসাচী এবং ওর পরিবারের ইচ্ছে ছিল নভেম্বরেই বিয়ে হবে। আমার মেয়েই বলেছিল যে না, মার্চ মাসের মধ্যে চুলটা আরও বড় হয়ে যাবে। সুন্দর করে সাজব। সেসব অধরাই রয়ে গেল।"