ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরেছিলেন নিজের চেনা ছন্দে। গতকাল সন্ধ্যে হতেই মন খারাপের খবর। ব্রেন স্ট্রোক করেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা। অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার রাতে স্ট্রোক হওয়ায় মাথায় রক্ত জমাট বেঁধে যায় তাঁর। ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে কিছুই বলা সম্ভব নয়, এমনটাই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
ঐন্দ্রিলা একজন ট্রু ফাইটার। মারণ রোগকে হারিয়ে ফিরেছেন। টলিপাড়ায় মাঝেমধ্যেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ এহেন ঘটনায় টলিউডের অন্দরে এক চাপা কষ্ট। তারকারাও যেন হতভম্ব। আরোগ্য কামনা করেছেন অনেকেই। অভিনেত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী এবং অভিনেতা সৌরভ দাস।
অভিনেত্রীর খবর জানতে একের পর এক ফোন। রীতিমতো বিরক্ত সৌরভ, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন, "ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে জল্পনা বন্ধ করুন। আমি আর সব্য একসঙ্গে আছি। বিব্রত হবেন না। ফোন ধরার অবস্থায় নেই। সময়মত সব জানিয়ে দেবে। আপনারা যে ওকে নিয়ে চিন্তিত সেটা বুঝতে পারছি। প্রার্থনা করবেন"।
কোমায় চলে গিয়েছেন অভিনেত্রী। তবে তাঁর সাহসের তুলনা নেই। ক্যানসারের দিনগুলোতেও এক মুহূর্তের জন্য ভেঙে পড়েননি তিনি। সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। এই খবর কানে যেতেই রীতিমতো উদ্বিগ্ন টলি তারকারা। আরোগ্য কামনা করে রুপঞ্জনা মিত্র লিখলেন, "ঐন্দ্রিলা তুমি একজন যোদ্ধা, যুদ্ধ চালিয়ে যাও। তুমি অবশ্যই পারবে। আমরা তোমার সঙ্গে আছি"।
বাদ পড়লেন না সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। লিখেলন, "ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হয়নি কোনদিন, তবু কেন জানি না খুব ভালোবাসি মনে হয় ওকে। ও খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক। আমি জানি, চিকিৎসাবিদ্যা অনেক কামাল করতে পারে। আবার এও জানি না যে প্রার্থনা কাজ করে কিনা। তবে এই সময় চাই দুটো জিনিসই কাজ করুক। সুস্থ হও ঐন্দ্রিলা"।
ঐন্দ্রিলা লড়াই করছেন প্রতিনিয়ত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওর বয়স অল্প। ঝুঁকিটা অনেক কম। তবুও সব সময়ের অপেক্ষা। শ্রীলেখা মিত্র লিখলেন, যোদ্ধা তুমি ফিরে এস। তোমার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করি, সুস্থ হয়ে ওঠ। রাহুল বন্দোপাধ্যায় যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না গোটা ঘটনা। আবদারের সুরে বলে উঠলেন, "এই মেয়েটা উঠে পড়, এটা ঠিক নয়"!
ঐন্দ্রিলা অনেকের অনুপ্রেরণা। তাঁকে দেখে যেন লড়াই করার শক্তি জাগে। তাই তো অভিনেত্রীর আরোগ্য কামনায় দেবলীনা দত্ত বললেন, "কথায় বলে যারা তোমায় আত্মবিশ্বাসী হতে অনুপ্রেরণা দেয় তাঁদের কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা থেকে যায়। তুমি একজন যোদ্ধা। অনেক কিছু দেওয়ার আছে তোমায়। চ্যাম্পিয়ন ফিরে এস! আরও পথ চলা বাকি।"
আচমকাই এক অঘটন। হাওড়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। শরীরের একদিন সম্পূর্ন অসাড়। বা হাত নাড়াচাড়া করতে পারছেন। তাঁর মায়ের সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে চোখ খুলেছিলেন ঐন্দ্রিলা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরেছে এও অবিশ্বাস্য। তবে, এটুকুই স্বস্তির তাঁর কাছে বলেই সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।