স্নান করতে করতে জীবনের এতবড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা যায়, এটা বোধহয় একমাত্র অজয় দেবগন নিজেই পারেন। কেন? কারণ তিনি নিজে এমনি একটা কান্ড ঘটিয়েছিলেন যা অবিশ্বাস্য। অভিনেতা অনেক ছবি করেছেন কিন্তু জখম...
তাব্বুর সঙ্গে বহু ছবিতে তাঁকে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছে। দুজনে অনেকবছরের বন্ধু। একে অপরের সম্পর্কে অনেককিছুই জানেন। কিন্তু, অজয় যে এভাবে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন এটাও ভাবা যায় না। সালটা ১৯৯৮। মহেশ ভাট জখম ছবির কাজ শুরু করবেন। সেটাই তাঁর দেশ পরিচালিত ছবি।
অজয় তখন একেবারেই অল্প বয়সের অভিনেতা। আর এই ছবির জন্য রীতিমতো তিনি ধমক খেয়েছিলেন মহেশ ভাটের কাছে। স্নান করছিলেন অজয়। তখন মোবাইলের যুগ না, ফলে ফোন করলেও স্নান করতে করতে ফোন ধরা বেজায় সমস্যার। কিন্তু, অস্বস্তিকর মুহূর্তেই জখম ছবির জন্য হ্যাঁ বলে দিয়েছিলেন অজয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন...
"তখন তো মোবাইলের যুগ না। ল্যান্ড ফোন। আমি শুটিং করছিলাম হায়দ্রাবাদে। হোটেলের বাথরুমেই ছিল ফোনটা। এবার যখন ফোনটা বেজে উঠেছে, আমি ধরেছি। ওপাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠল, যে ভাট সাহেব আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। আমি মহেশ সাহেবকে বললাম, আমি স্নান করছি, পরে কথা বলি। কিন্তু উনি তো শোনার না। আমায় ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে বললেন, তুমি শুধু আমার কথা শোনো! আমি আমার জীবনের শেষ ছবি করতে চলেছি, আর করব না। এবং উনি গল্পটা বলতে শুরু করলেন। আমি জলের আওয়াজে কিছুই শুনতে পারছি না। আমি শুধু এটুকু উনাকে বলেছিলাম, যে আমি স্নান করছি ভাট সাহেব, কিন্তু আমি ছবিটা করব।"
তবে, পাশাপাশি অজয় এও জানান, সত্যিই এরপর আর তিনি কোনও ছবি করেননি। নিজের প্রতিটা কথা তিনি পালন করেছেন। কিন্তু অজয় একা নন, তাব্বু জানান, তিনি নিজেও বহু ছবি তাড়াহুড়ো করে সাইন করেছেন। বিশেষ করে, পরিচালক প্রিয়দর্শন এর সঙ্গে এটা তাঁর বেশি হত। বলেন, "আমি ভিরাসাত, কালা পানি এই স্ক্রীপ্টগুলো পড়িনি।"