চোখে চশমা। চুলের দৈর্ঘ্য খানিক বড়। স্থির দৃষ্টি। যেন গভীর চিন্তায় মগ্ন। গলাায় নীল ওড়না, পরনে ছাইরঙা শার্ট। অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি মারতেই ধরা পড়ল এমন অবতার। তবে শুধু এমন লুক শেয়ার করেই ক্ষান্ত থাকেননি বলিউডের খিলাড়ি কুমার! আবার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, কেমন লাগছে আমাকে? অক্ষয়ের এই লুক আদতে 'রামসেতু'র (Ram Setu) জন্য। যে ছবিতে কিনা তাঁকে দেখা যাবে এক আর্কিলজিস্ট অর্থাৎ প্রত্নতত্ত্ববিদের ভূমিকায়। তার জন্যই এমন অবতারে ধরা দিয়েছেন খিলাড়ি কুমার।
যোগীর রাজ্য অযোধ্যায় শুভ মুহুরত সম্পন্ন হয়েছে। রাম-সীতার পুজো দিয়ে সম্প্রতি শুটিং শুরু করেছেন অক্ষয় কুমার। জোর কদমে শুটিং চলছে মুম্বইয়ের গোরেগাঁও ফিল্ম সিটিতে। আর সেই শুটিং ফ্লোর থেকেই শেয়ার করলেন তাঁর 'রামসেতু' অবতার। বহুপ্রতীক্ষিত এই সিনেমার কাজ শুরু করতে পেরে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত অক্ষয়। তাঁর ইঙ্গিত মিলেছে লুক শেয়ার করার পোস্টেই। সূত্রের খবর, দেশ-বিদেশের নানা প্রত্নতত্ত্ববিদের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই ছবিতে অক্ষয়ের লুক চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অক্ষয় ছাড়াও 'রামসেতু'তে দেখা যাবে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez) এবং নুসরত বারুচাকে (Nushrratt Bharuccha)। দুই অভিনেত্রীও উপস্থিত ছিলেন অযোধ্যার শুভ মুহুরতে।
পরিচালকের আসনে অভিষেক শর্মা। যিনি কিনা এর আগে ‘তেরে বিন লাদেন’, ‘পরমাণু: দ্য স্টোরি অব পোখরান’-এর মতো ছবি তৈরি করেছেন। এই মুহূর্তে বলিউডের ব্যাস্ততম অভিনেতা যে অক্ষয় কুমার তা বোধহয় আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। যেখানে খান-অভিনেতাদের হাতে হাতে গোনা গুটি কয়েক ছবি। সেখানে বেল বটম’, ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘আতরাঙ্গি রে’র মতো একাধিক ছবির শুটিং পরের পর শেষ করে চলেছেন অক্ষয়। এবার হাত দিলেন তাঁর বহু প্রতীক্ষিত 'রামসেতু' নির্মাণের কাজে।
উল্লেখ্য, এই ছবি ঘোষণার পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়েছিল। মোদীভক্ত আর বিজেপি ঘেঁষা অভিনেতার তকমা তাঁর কপালে আগেই জুটেছে। উপরন্তু রামমন্দির নির্মাণে নিজস্ব দান-খয়রাতির পাশাপাশি অনুরাগীদের কাছেও অনুদানের আর্জি জানিয়েছিলেন অক্ষয়। সেই সময় অনেকেই কটাক্ষ করেছিলেন যে, এটা আসলে আগামী ছবি 'রামসেতু'র প্রচারের জন্য পথপ্রশস্ত করা। কারণ, শ্রী রাম চন্দ্রের আদর্শকে দেশের নবীন প্রজন্মের মধ্যে উজ্জীবিত করতেই অক্ষয়ের এই প্রজেক্ট। কাজেই ছবিতে গেরুয়া গন্ধ যে থাকবেই তা বলাই বাহুল্য।
এই দীপাবলিতে রামের আদর্শকে ভারতীয়দের মধ্যে উজ্জীবিত করতে আগামী প্রজন্মের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে একটা সেতু নির্মাণ করা হোক। একটি বিরাট কাজ রয়েছে ভবিষ্যতের জন্য। আমাদের ছোট্ট একটা প্রচেষ্টা, ‘রাম সেতু’! সবাইকে দীপাবলির অনেক শুভেচ্ছা।”