নিজের বাড়িতেও দু'দণ্ড শান্তি নেই। একান্তে সময় কাটাবেন, তারও জো নেই! তারকা বলে কথা, অতঃপর সর্বক্ষণ ক্যামেরার লেন্সের তাক যে তাঁদের ওপর থাকবেই, তা বলাই বাহুল্য। তাই বলে চোরাপথে সোজাসুজি বাড়ির অন্দরমহলে উঁকি-ঝুকি! এ তো একেবারে ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় আক্রমণ। অস্বস্তিতে পরে বেজায় চটলেন আলিয়া ভাট।
মঙ্গলবার রাতে রণবীর-আলিয়ার বাস্তুতে ফোটোশিকারিরা ক্যামেরা তাক করেছিল। সেখানেই ধরা পড়ে আলিয়ার ব্যক্তিগত মুহূর্ত। বাড়িতেই ছিলেন অভিনেত্রী। পরনে পোশাকও বাড়িরই। একেবারে সাদামাটা। বাংলোর ড্রয়িং রুমে বসে হাতে ফোন ঘেঁটে সময় কাটাচ্ছিলেন। নিত্যদিনের কাজ সারছিলেন। তবে তিনি যে অতর্কিতে লেন্সবন্দি হবেন, একথা ভাবতেও পারেননি। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মেজাজ হারালেন আলিয়া ভাট।
রণবীর-ঘরণির প্রশ্ন- "এটা কোন ধরনের রসিকতা? নিজের বাড়িতে খুব স্বাভাবিকভাবেই সময় কাটাচ্ছিলাম। বসারঘরে যাওয়া মাত্রই আমার মনে হল কেউ নজরদারি চালাচ্ছে। দেখি দুজন মানুষ, প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে উঠে আমাকে লক্ষ্য করে ক্যামেরা তাক করেছে! কোন দুনিয়াতে এটাকে ঠিক কাজ বলে মনে করা হয় এধরণের কাজের অনুমতি কারা দেয় এটা গোপনীয়তায় সরাসরি হস্তক্ষেপ! সবকিছুর একটা সীমা আছে। যা পার করা অনুচিত। এরা সবটা অতিক্রম করে ফেলেছে।"
<আরও পড়ুন: ‘২৬/১১ ভোলেনি ভারত..’ পাকিস্তানে দাঁড়িয়ে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ জাভেদ আখতারের! প্রশংসা কঙ্গনার>
সেই পোস্টে মুম্বই পুলিশকে ট্যাগ করে সাহায্যও চান আলিয়া ভাট। আলিয়ার ঘটনায় সমব্যথী অনুষ্কা শর্মাও। কারণ, তিনিও এই একই ঘটনার শিকার। যার জেরে ফটোশিকারিদের ওপর ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আলিয়ার উদ্দেশে অনুষ্কা শর্মা বলেন, "বছর দুয়েক আগে এরাই আমাদের সঙ্গেও এই কাজ করেছিল। মানুষের গোপনীয়তাকে সম্মান দিতে জানে না এরা। একমাত্র সংবাদমাধ্যম, যারা এই কাজ করেই চলেছে।"
এদিকে, মেয়ের ঘরে নজরদারি চালানোর প্রতিবাদে মুখ খোলেন অভিনেত্রীর মা ও দিদি সোনি রাজদান ও শাহিন ভাটরা। প্রতিবাদে মুখর করণ জোহর, অর্জুন কাপুর, স্বরা ভাস্কররাও।