গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে থাকা নেহাতই সহজ নয়, কারণ হাজারো মানুষ ছোট্ট ছোট্ট আচরণ নিয়ে নানা মন্তব্য করে থাকেন। কিন্তু, একজন তারকা যে একজন বাড়ির মানুষ, সেকথা অনেকেই ভুলে যান। আলিয়া ভাটের ক্ষেত্রেও এহেন ঘটনা নতুন না, যেদিন থেকে তিনি কাপুর পরিবারে বিয়ে করেছেন তাঁকে নানা কথা শুনতে হয়।
বিশেষ করে শাশুরি নিতু সিংয়ের জন্য নানা ধরনের কটুক্তি এবং মন্তব্য তাঁকে শুনতে হয়। কখনও কখনও এমনও দাবি করেন ভক্তরা যে এরকম শশুরবাড়ি এবং শাশুরি পাওয়ার জন্য আলিয়া রণবীরকে বিয়ে করলেন তিনি? কেউ কেউ আবার এমনও বলেন ক্যাটরিনা এবং দীপিকা দুজনেই জোর বাঁচা বেঁচে গিয়েছেন, যে এই বাড়িতে বিয়ে হয়নি। কেউ কেউ এমন বলেন, এসব বাড়িতে বিয়ে হল নায়িকা সমস্যায় পড়ে যাবেন।
কিন্তু, না! শেষ একটি অনুষ্ঠানে আলিয়াকে যেভাবে বাড়ির বউ হিসেবে দায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছে, সেই দৃশ্য বারবার প্রমাণ করেছে যে শুধু নায়িকা হিসেবে নয়, আলিয়া বাড়ির পুত্রবধূ হিসেবেও বেশ আদরের এবং দায়িত্ববান। এর আগে ঠাকুরদাদা রাজ কাপুরের ১০০ তম জন্মদিন উপলক্ষে, আলিয়াকে দেখা গিয়েছিল দারুণভাবে দায়িত্ব সামলাতে। আর এবার দেওর আদার জৈনের বিয়েতেও সবার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি তাঁদের খোঁজ খবর নিতে দেখা গিয়েছে।
শ্বশুরবাড়ির সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সঙ্গে সঙ্গে বড়দের আশীর্বাদ নিতেও ভুল হয়নি তাঁদের। বরং, অভিনেত্রী ননদ করিনাকে দেখেই প্রথম কথা জিজ্ঞেস করলেন, খেয়েছ? এরপর ধীরে ধীরে রনধীর কাপুর থেকে ববিতা, সকলের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাল হকিকত পর্যন্ত বুঝে শুনে নিলেন। আর এই দৃশ্য দেখেই বেশিরভাগের মন্তব্য খুব তীব্র।
অভিনেত্রী, শুধু কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকলে যেমন তাঁদের অসুবিধা, তেমনই সুখে সংসার করলেও তাঁদের অসুবিধা। কেউ বললেন, আসলে মানুষের সবেতেই অসুবিধা কেউ কারওর ভাল দেখতে পারে না। আবার কেউ বললেন, এরাও যে বাড়ির বড়দের পা ছুঁয়ে প্রণাম করছে, সেটাও দেখতে হচ্ছে। আবার কেউ বললেন, আলিয়া সত্যিই বাড়ির ভাল বউ। আবার কেউ বললেন, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ভালবাসছে, তাতেও অসুবিধা।