Amaal Malik-Family Controversies: দীর্ঘদিন তিনি যেভাবে একের পর এক মেলোডি উপহার দিয়েছেন কেউ বুঝতেও পেরেছিলেন যে এভাবে পারিবারিক অশান্তির মধ্যে দিয়ে তিনি যাচ্ছেন। সঙ্গীত পরিচালক আমাল মালিক এবার নিজের সঙ্গে হওয়া সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। কিছু দিন আগেও ভাইয়ের বিয়েতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তাহলে কী এমন হল যে সব ছেড়ে, পরিবারকে ছেড়ে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি?
আরমান এবং আমাল - মালিক ব্রাদার্স হিসেবে পরিচিত এই দুই নানা গান উপহার দিয়েছেন। কিন্তু এতদিন এত পরিশ্রমের কারণেও তাঁদের বাবা মায়ের জন্যই আজ সব শেষ? দুই ভাইয়ের মধ্যে এত দুরত্ব? সব নিয়েই নিজের সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন তিনি। একসময় অনু মালিকের ভাইপো হিসেবে তাঁরা নাম করেছিলেন, কিন্তু সারাজীবন কেন এই একই কথা শুনবেন?আমাল কী লিখছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আরও পড়ুন - Esha Deol: 'বাবা আমায় তুলে টিউবওয়েলে ফেলে দিলেন..', এশার সঙ্গে কেন এমন করেছিলেন ধর্মেন্দ্র?
সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যেতেই এবার তিনি মুখ খুলেছেন। বলছেন, মি সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছি। অনেক বছর ধরে চুপ ছিলাম। কাছের মানুষদের সুরক্ষিত এবং ভাল রাখার জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। নিজের স্বপ্ন বলি দিয়েও আজকে এই শুনতে হয় যে আমি কী এমন করেছি। শেষ যে ১২৬টি গান আমি তৈরি করেছি সেখানে অক্লান্ত পরিশ্রম থেকে শুরু করে আমার রক্ত ঘাম চোখের জল সব আছে।" শিল্পীর কথায় তাঁর ভাইয়ের সুর এবং গানের মাধ্যমেই তিনি চেষ্টা করেছিলেন কারওর ভাইপো বা কারওর ছেলে এই তকমার জায়গায় নিজের পরিচয় তৈরি করতে।
কিন্তু ভাইয়ের সঙ্গে দিনের পর দিন তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। এবং তাঁদের অভিভাবকই দায়ী এই জন্য। তাঁদের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড এবং আচরণ দুই ভাইয়ের মধ্যে চিনের প্রাচীর গড়ে তুলেছে। তিনি আরও বলছেন, "আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে দুরত্ব সৃষ্টি করেছে আমাদের বাবা-মা। আমরা একে অপরের থেকে এতটাই দূরে চলে গিয়েছি যে আমার মনে একটা গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। শেষ কিছু বছর আমি যাতে ভাল না থাকি তাঁর জন্য ওরা অনেক চেষ্টা করেছে। আমার বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক আমার আত্মবিশ্বাস সবকিছু নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি এই ভেবে এগিয়ে গিয়েছি যে আমায় টলানো সম্ভব না। আমার সঙ্গে ঈশ্বরের শক্তি আছে।"
এতগুলো বছর নীরবে সব সহ্য করেছেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন আমাল। নিজের শান্তি - স্বস্তি সব শেষ করেছেন। স্বীকার করেছেন যে তিনি অবসাদের শিকার। শিল্পীর কথায় আমি নিজেকে দোষারোপ করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারব না। কিন্তু বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন তিনি। পরিবারকে ছাড়ছেন। তাঁদের ত্যাগ করে ভাল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আরমান মনের দুঃখের সঙ্গে লিখছেন
আমি আজ জানাতে বাধ্য হচ্ছি যে, পারিবারিক সব বন্ধন ছিন্ন করছি আমি। আজ থেকে তাঁদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। যেটুকু থাকবে শুধুই প্রফেশনাল স্তরে থাকবে। এটা রাগের মাথায় নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত না। নিজের জীবন এবং প্রয়োজনের কারণে নেওয়া। আমি চাই না অতীতের কোনও ছোট্ট সুতো আমি ভবিষ্যতে বয়ে নিয়ে যাই। আমার জীবনটাকে আবারও নতুন করে আমি গুছিয়ে নিতে চাই।