/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/19/amaal-2025-09-19-13-59-47.jpg)
যা হয় সেদিন আমালের সঙ্গে...
বিগ বস ১৯-এর সাম্প্রতিক পর্বে সঙ্গীত পরিচালক অমল মালিক তার পরিবার নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। সহ-প্রতিযোগী বসির আলীর সঙ্গে খোলামেলা কথোপকথনে তিনি জানান, তার কাকা অনু মালিক নাকি বহুবার তার এবং তার বাবার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করেছেন। এমনকি অনুর স্ত্রীও পারিবারিক সম্পর্কে ফাটল ধরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে দাবি করেন অমল।
অমল বলেন, “সর্দার মালিকের থেকেই আমরা সব পেয়েছি, কিন্তু অনু মালিক সেটিকে নিজের মতো করে দখল করেছিলেন। আমি যখন সুরজ ডুবা হ্যায় করেছি, সে তখন মোহ মোহ কে ধাগে করেছে। প্রতিভা না থাকা সত্ত্বেও সবকিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখত।”
তিনি আরও জানান, একবার তার বাবাকে স্টুডিওতে ডেকে নিয়ে অনু মালিক এমন একটি গান রেকর্ডিং করতে দেন, যা আসলে বহু বছর আগে মুক্তি পেয়েছিল। অমলের ভাষায়- “সে বাবাকে মক রেকর্ডিংয়ে ডাকল। তিন বছরের পুরনো একটি গান থেকে উদিত নারায়ণের কণ্ঠস্বর সরিয়ে বাবাকে বোঝাতে চেয়েছিল যে সে তাকে সুযোগ দিচ্ছে। আসলে এটা ছিল প্রতারণা।”
বশির আলী জিজ্ঞাসা করলে কেন এমন করেন অনু মালিক, অমল সোজা উত্তর দেন- “কারণ তিনি খারাপ মনের মানুষ।” তিনি আরও আবেগভরে যোগ করেন, “আমার বাবা এই বিশ্বাসঘাতকতা কখনোই ভুলতে পারেননি। পরে স্ত্রী-দের কারণে সম্পর্ক আরও জটিল হয়। এ কারণেই বাবা সবসময় চাইতেন আমি আর আরমান আলাদা পরিচয় তৈরি করি, যদিও একে অপরকে সাহায্য করার পরামর্শ দিতেন।”
অমল তার শৈশবের একটি কষ্টদায়ক স্মৃতিও ভাগ করেন। তিনি বলেন, “২০০৫ সালের ২৬ জুলাই মুম্বাইয়ে তখন ভয়াবহ বন্যা। আমার বয়স ছিল মাত্র সাত। জুহু পুরোপুরি জলে ডুবে গিয়েছিল। তখন অনু মালিকের পরিবার আমাকে গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখেও উপেক্ষা করে। তাদের মার্সিডিজ গাড়ি নিয়ে চলে যায়। বুকসমান জলে আমি ভেসে যাচ্ছিলাম, এমন সময় বাবার এক বন্ধু আমাকে বাঁচিয়েছিলেন।”
তিনি নিজের শৈশবের সংগ্রামের কথাও জানান তিনি। তাঁকে বলতে শোনা গেল, “আমি ছোট থেকেই আক্রমণাত্মক, কারণ আমার জীবনে নানা আঘাত ছিল। মা-কে সারাদিন কাজ করতে বাধ্য করা হতো, তাকে অপমান সহ্য করতে হতো। তার অর্ধেক রাগ আমার মধ্যে এসে পড়েছিল। মা একবার খালি হাতে আলমারির কাচ ভেঙে ফেলেছিলেন। সেই কষ্ট আর সংগ্রামের ফলেই আমরা আজ এখানে।”