Amar Boss-Shiboprasad Mukherjee: বস আর তাঁর এমপ্লয়ী - প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে এই বিষয়টা যেন অবিচ্ছেদ্য। রোজ সকালে উঠে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ কিংবা প্রজেক্ট নিয়ে গাল মন্দ কিংবা বাক বিতন্ডা - এ যেন সকলের কাছে চিরাচরিত। সকাল সকাল উঠে বসের বকা না খেলে অনেকের আবার ভাত হজম হয় না। আর সেই বস এবং এমপ্লয়ীদের জীবনের এক সুন্দর গল্পই আসছে এই গরমে..
হ্যাঁ হ্যাঁ! বসের সঙ্গে কথা বলা মানেই চারপাশের পরিস্থিতি গরম.. কিন্তু আদতে পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কেমন বস হতে চলেছেন, সেটা তো পরেই দেখা যাবে। কিন্তু, তাঁর আগেই তাঁর দলবলদের নিয়ে এক ভীষণ সুন্দর কাজ করে বসেছেন শিবু। যেখানে, ছবি বিষয়বস্তু বস এবং তাঁর দলবল - সেখানে একটু অন্যরকম কিছু হবে না, এ নিশ্চই হয় না। তাই তো, সুকুমার রায় একমাত্র ভরসা। চিরাচরিত কাব্যের ভাষা ছেড়ে, আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে তিনি যেভাবে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন, তাতে এটুকু বোঝা যায় যে তিনি মানুষের কথা ভাবতেন।
তাই তো আমার বস টিমের সকলে মিলে সুকুমার রায়ের স্মরণাপন্ন হলেন। তাঁর গন্ধ বিচার কবিতার সঙ্গে আমার বসের প্রেক্ষাপটের মিল আছে যে বলতেই হয়! যদিও বা সেটি রাজা-মন্ত্রীর রাজসভার গল্প বলে...কিন্তু বর্তমানের অফিস আর তখনের রাজসভার কোনো পার্থক্য নেই। রাজা হয় বসলেন পরিচালক খোদ। তাঁর চারপাশে কবিতার একেকটি চরিত্র - বেজায় সুন্দর তাঁরা সেটা পাঠ করলেন। আর এই প্রসঙ্গে পরিচালক নিজে জানিয়েছেন...
"গন্ধ বিচার’ সুকুমার রায়ের কালজয়ী কবিতাগুলোর মধ্যে একটি, যা আজও প্রাসঙ্গিক। ‘আমার বস’-এর প্রেক্ষাপট একটি কর্পোরেট অফিস, যেখানে বস রাজা আর তার মন্ত্রিপরিষদ তার কর্মচারীরা। এই কবিতার সঙ্গে ছবির ধারণাটা এতটাই মিলে যায় যে, আমাদের এই কবিতাটি স্মরণ করতেই হলো। তা ছাড়া, ‘আমার বস’-এ প্রচুর সুকুমার রায়ের কবিতার রেফারেন্স আছে এবং রাখীদি নিজেও স্ক্রিনে সুকুমার রায়ের কবিতা পাঠ করেছেন। সেই ভাবনা থেকেই ‘আমার বস’ টিমের এই ছোট্ট প্রয়াস। আশা করি, সকলের ভালো লাগবে।"
প্রসঙ্গে, এই ছবি গরমের দিনে যে এক চিলতে আমেজ হতে চলেছে সেকথা পরিষ্কার। কারণ, এই ছবি শুধু বস এবং তাঁর এমপ্লইদের গল্প না এক মা এবং ছেলের গল্প। গতবছর মে মাসে উইন্ডোজ নিয়ে এসেছিল দাবাড়ু - সেখানেও এক মা এবং ছেলের দারুণ বন্ধন দেখানো হয়েছিল। আর এবারও আমার বস আসছে। যেখানে বহুদিন পর দেখা যাবে রাখি গুলজারকে।