/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/07/amartya-uranchondi.jpg)
চৈতি ঘোষালের ছেলে অমর্ত্য রায় ডেবিউ করছেন 'উড়নচন্ডী' ছবিতে।
টলিউড একজন পারফর্মারকে পেতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি, যে গান লেখে, গায়, পরিচালনা নিয়ে পড়ছে আবার অভিনয়েও হাতেখড়ি হয়ে গিয়েছে। আন্দাজ করা যাচ্ছে কি? কথা বলছি অমর্ত্য রায়কে নিয়ে। চৈতি ঘোষালের ছেলে ডেবিউ করছেন 'উড়নচন্ডী' ছবিতে। সিনেমার নেপথ্য গল্প থেকে রিয়েল লাইফের 'তু তু ম্যায় ম্যায়' নিয়ে কথা বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে।
ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে এফটিআইআই... কীভাবে?
এটা না আমাকে আলাদা করে ভাবতে বললে পারব না। বাড়িতে এই পরিবেশ তো ছোটবেলা থেকেই ছিল। দাদু (শ্যামল ঘোষাল), বাবা, মা (চৈতি ঘোষাল) প্রত্যেকে পারফর্মিং আর্টসের সঙ্গে যুক্ত। এফটিআইআই-তে পরীক্ষা দেওয়ার কথা মাথায় এল, পেয়েও গেলাম ... হেরিটেজ থেকে সোজা পুণে।
আর উড়নচন্ডীর জার্নিটা...
বলে না সোশাল মিডিয়ার পাওয়ার। 'উড়নচন্ডী'-ও আমার কাছে সেভাবেই এসেছিল। অভিষেকদা ছোটুর চরিত্রের জন্য মানানসই কাউকে পাচ্ছিলেন না। সুদীপ্তা মাসি তখন ফেসবুক খুঁজে আমার প্রোফাইলে যায়। তারপর আমার ছবি দেখে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার নম্বর নেয়। আমিও 'উড়নচন্ডী' পেয়ে যাই।
বুম্বাদা শুটিংয়ে গিয়েছিলেন কখনও?
না! বুম্বা আঙ্কেলের একটা ছবির শুটিং চলছিল তখন। তাছাড়া ১৪ দিনের টানা শুটিংটাই হয়েছিল আউটডোরে। তবে সৃজনী দি সবসময় সঙ্গে ছিল। পুরো ইউনিটটাই ভীষণ কমপ্যাক্ট ছিল আসলে। আমি ভীষণ খুশি যে টলিউডে ডেবিউ করছি প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/07/amartya-line-image.jpg)
আর পরিচালকের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
আমার আর রাজনন্দিনীর সঙ্গে অভিষেকদারও এটা ডেবিউ ছবি। তবে শুটিং আর গল্প বলা দেখে সেটা আঁচ করা মুশকিল। চরিত্রায়ণ থেকে আর্ট, সংলাপ সবটা নিখুঁত ভাবে করেছে।
সবচেয়ে মজার ব্যপার হল, শট দেওয়ার পর আমরা দাঁড়িয়ে থাকতাম, ভাল হলে অভিষেকদা বলবে। সে গুড়ে বালি, দেখছি দাদা ডিওপির সঙ্গে কথা বলছে নয়তো লাইট দেখছে। তখন নিজেই জিজ্ঞেস করতাম শটটা ঠিক আছে? পরে সেটা বুঝতে পেরেছিল অভিষেকদা। তারপর থেকে শট ভাল হলে মাইক নিয়ে বলত, "তুমি 'ক' পেয়েছ" (হাসি)।
রাজনন্দিনীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হল?
কী আশ্চর্য! ও আমার বাড়ির এত কাছে থাকে কিন্তু চিনতামই না। বুম্বা আঙ্কেলের অফিসে প্রথম আলাপ। এখন তো আমরা ভাল বন্ধু। সারাক্ষণ তু তু ম্যায় ম্যায় চলতে থাকে। ভীষণ লেগ পুল করি।
আর পর্দার বাইরে?
(হাসি) বন্ধু!
রাজনন্দিনীর কথা বলছি না কিন্ত...
ওহ! আমি এখন সিঙ্গল, তবে প্রচুর বান্ধবী রয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/07/udonchondi-unit.jpg)
সিনেমা, মিউজিক, পরিচালনা, কোনটায় ভবিষ্যত দেখছ?
বলতে গেলে তিনটেতেই। আমি একজন পারফর্মার, তাই সব কিছুতেই গল্প বলতে ভালোবাসি। এতদিন গান লিখে বলেছি, এখন অভিনয়ে বলছি। যেদিন মনে হবে কোনও গল্প বলতে না পারলে আমার রাতে ঘুম আসছে না তখন পরিচালনার কথা নিশ্চয়ই ভাবব।
আর গানের চর্চা?
ওটা তো থাকবেই। ৪ তারিখেই আমার দলের শো আছে। তাছাড়া আমি হিন্দিতেও দুটো গান কম্পোজ করলাম। এখনই নাম বলতে পারব না, তবে বড় বড় শিল্পীরা গেয়েছেন। আর এফটিআইআই-এর স্টুডিও এত ভাল, সামনে রেকর্ডও করব ভেবেছি।
ভয় করছে না, সামনে রিলিজ?
আমি না ট্রান্সে আছি প্রমোশন নিয়ে। এই পুরো সময়টা নিয়ে। আলাদা করে ভয় বা টেনশন এগুলো বুঝতে পারছি না। শুধু ভাললাগা কাজ করছে। ৩ তারিখের পর টের পাবো।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/07/sudipta-amartya-uronchandi.jpg)
টলিউড কি নতুন 'হিরো' পেল?
বলতে পারেন, নতুন অভিনেতা। 'হিরো' আমার কাছে একটা চরিত্র। এখন তো ছবির কনসেপ্ট বদলে যাচ্ছে। তাই অভিনয় দিয়েই নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চাই।