Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

সত্য ঘটনা অবলম্বনে না কাল্পনিক? 'রক্তবীজে' নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে অম্বরীশ বললেন…

'উনার কীর্ণাহারের বাড়িতে গিয়েছিলাম, তারপর...' কী বললেন অম্বরীশ?

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
Ambarish Bhattacharyya on his new role for Raktabeej

অম্বরীশের নতুন ভূমিকা

তাঁকে পার্শ্ব অভিনেতার তুলনায় বোধহয় সহ অভিনেতা বললেই সবথেকে বেশি যুক্তিযুক্ত হয়। কারণ, যে ধরনের গুরুত্বপূর্ন চরিত্রে তিনি নিজেকে উপস্থাপন করেন, তাতে অন্তত এটুকু পরিষ্কার, যে তাঁকে ছাড়া এই ছবিগুলো একেবারেই সম্ভব না। আর এবার শিবু নন্দিতার রক্তবীজ ছবিতে এক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। প্রসঙ্গে অম্বরীশ ভট্টাচার্য

Advertisment

ব্যোমকেশ এর অজিত চরিত্রের পর, তিনি একদম এবার ভিন্ন ভূমিকায়। কারণ, এখানে তাঁর ভূমিকা এক সাংবাদিকের। সেই চরিত্রটা করতে গিয়েই নানা অভিজ্ঞতা। মজার সংবাদ করতে গিয়েই সে জড়িয়ে পড়ল নানা কাণ্ডের সঙ্গে। কেমন লাগল অভিনয় করে। ছবি থেকে ছোটবেলার নিদারুণ পুজোর অভিজ্ঞতা, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।

চরিত্রটা করতে কেমন লাগল?

আসলে, এটা একটা খুব ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ন চরিত্র। যেটা দেখানো হচ্ছে যে রাষ্ট্রপতি গ্রামে আসছেন এবং পুজোর সময় তাঁকে নিয়ে নানা খবর। তিনি, চণ্ডীপাঠ করলেন কিনা, খিচুড়ি খেলেন কিনা, আরও নানা গল্প। মজার খবর করতে এসে সে কিন্তু, ইচ্ছে না থাকা সত্বেও ঘটনাচক্রে একটা নাশকতা এরম জরুরি অবস্থার সঙ্গে জড়িয়ে যায়। এবং তার রিপোর্টিং এর স্টাইল একদম বদলে যায়। সাংবাদিকদের অনেকরকম কাজ করতে হয়। বোকা বোকা খবর করতে হয়। কিন্তু, একটা যদি ভাল লিড কোনও সাংবাদিক পেয়ে যায় তাহলে ব্রেকিং এর একটা ব্যাপার থাকে।

সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করলে, চরিত্রের খাতিরেই চাপ বুঝতে পারলেন সাংবাদিকদের?

আমার বাবা জানো তো, সাংবাদিক ছিলেন। আমি ছোটবেলা থেকে এসব দেখে বড় হয়েছি। আমার বাড়িতে সেসময়ের সব দুঁদে সাংবাদিকরা আসতেন। সত্যি বলতে গেলে, আমি এই যে  মিডিয়া মাধ্যমের পরিবর্তনটা একদম চোখের সামনে দেখেছি। প্রিন্ট থেকে অডিও ভিজুয়্যাল তারপর ধরো ডিজিটাল। এই জার্নিটা আমি দেখেছি। আমি সত্যি বলতে সাংবাদিকদের খুব শ্রদ্ধা করি। ছবির শেষে একটা টাইটেল আছে, যাতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আমার বলা কিছু কথা। আমি মন থেকে বিশ্বাস করি, এটা সাংবাদিকদের প্রতি আমার একটা ট্রিবিউট হবে। আমার সাংবাদিক হয়ে ওঠা হয় নি।

বাবাকে দেখে বড় হয়েছেন বলেই এই চরিত্রটা বেছে নেওয়া?

সেটা কিছু ক্ষেত্রে। তবে, এই ছবিতে আমার চরিত্রের দিকটা না থাকলে কিন্তু গল্প সম্পূর্ন হয় না। অনেকসময় দেখবে একজন সাংবাদিকের হাতে অনেক এভিডেন্স থাকে কিন্তু খবর সে ব্রেক করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকে। এটা কাজের চাপ। আমি বলব, আমার চরিত্র দেখে বিচার করতে, যে আদৌ একজন সাংবাদিক হয়ে উঠতে পারলাম কিনা।

তোমার যা চরিত্র, তাঁর সঙ্গে বাস্তবের ঘটনায় এমন কোনও সাংবাদিকের ভূমিকায় কেউ ছিলেন? গবেষণা করেছিলেন?

না! সেই ঘটনায় পাওয়া যেকটা রিপোর্ট রয়েছে তাতে এমন কোনও সাংবাদিকের উল্লেখ করা নেই যিনি প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বাড়ির ভেতরে ঢুকে গিয়েছিলেন। এটা কিছুটা কাল্পনিক। আমাদের প্ল্যানিং এমন ছিল যে তখন যদি কোনও সাংবাদিক থাকতেন তবে তিনি কী কী করতেন? নাহলে, আমায় যে দেখানো হয়েছে উনার বাড়িতে ঢুকে গিয়ে দিদির ইন্টারভিউ করছেন বা কিছু, আবার সেই দিদি যিনি আমাকে ভালবেসে বাড়িতে বসার অনুমতি দিয়েছেন। ছবিতে অনেক ডালপালা রয়েছে।

শিবু নন্দিতার ছবি, এবারও কি তাঁরা নতুন কোনও বার্তা দিলেন?

সবসময় তারা সেটাই দিয়ে থাকেন। সহজে কিছু বলে দেওয়াই তাদের ধর্ম। এবারও ব্যতিক্রম না। আমার মনে হয়, মিমি আবির অ্যাকশন করছে, ভিক্টর স্যার অভিনয় করেছেন কিংবা যাই হোক না কেন। শিবু এবং নন্দিতা বিশ্বব্যাপী হয়ে চলা এই সন্ত্রাস এবং টেরোরিজমের বিরুদ্ধে যে একটা মেসেজ দিয়েছেন, দর্শকদের সেটাই মনে রয়ে যাবে। আর এটা সারা জগতের সমস্যা, মানুষের সচেতন হওয়া দরকার।

ভিক্টর বন্দোপাধ্যায় অভিনয় করলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির ভূমিকায়, তাঁকে অনসেট দেখে কেমন লাগল?

আমি সত্যি বলব, আমার একদম একরকম লেগেছে। একবার উনার কীর্নাহারের বাড়িতে আমি গিয়েছিলাম। উনি যখন চণ্ডীপাঠ করতেন, উনাকে বাইরে থেকে দেখা যেত। জোর পরে, গায়ে গরদের চাদর থাকত। আমি যখন ভিক্টরদাকে দেখলাম একদম একরকম লেগেছে। মনে হচ্ছিল সেই মানুষটাই বসে রয়েছেন। একদম সেই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, একজন অনবদ্য মানুষ সঙ্গে অভিনেতা। তবে, ভিক্টর বাবুর সঙ্গে আমার একটা অন্যরকম ব্যাপার আছে। আমি, উনাকে দেখেছি সবধরনের ছবিতে প্যারালাল ভাবে অভিনয় করতে। একদিকে যখন মহাপৃথিবী করছেন অন্যদিকে প্রতিকার এর মত ছবি করছেন। আর আমি সেই গল্পই উনাকে করছিলাম।

আচ্ছা, সেই গল্পটা একটু শুনতে পারি?

হ্যাঁ! উনার প্রতিকার ছবিতে যে চরিত্রটা ছিল সেখানে তাঁর মা মারা যায়। এবং উনি মায়ের রক্তে ভেজা শাড়িটা একটু ছিঁড়ে নিয়ে আসেন। যখনই উনি ভিলেনদের দেখতেন তখনই সেটা মাথায় বেঁধে নিতেন। তারপর তারমধ্যে একটা সুপার পাওয়ার চলে আসতো। উনি তখন সবাইকে মারতেন। আমিও তখন, বাড়ি এসে একটা লাল শালু কাপড় ছিল ওটা মাথায় বেঁধে ঘুরতাম, ওনাকে নকল করতাম। এটা শুনে উনি যেমন হাসলেন তেমন মজা পেলেন।

তিন প্রজন্মের নায়কদের দেখলেন, ভিক্টর স্যার, আবীর দা এবং সত্যম? খামতি খুঁজে পেলে কারওর মধ্যে?

খামতির, কোনও প্রশ্নই নেই। তিনজন ভীষণ ভাল অভিনেতা। তারা নিজেদের চরিত্রে নিদারুণ ভূমিকা পালন করেছেন। সেই কারণেই শিবু এবং নন্দিতার নজরে তারা এসেছেন। আমার তো তিনজনকে দারুণ লেগেছে।

tollywood Entertainment News
Advertisment