Actor Faced Death: সাংঘাতিক বিপদের মধ্যে পড়েছিলেন তারকা। ছবির শুটিংয়ে গিয়ে যে এহেন এক কান্ড হবে, এ জীবনে ভাবতে পেরেছিলেন! মৃত্যু একদম চোখের সামনে! ছবির প্রয়োজনে ট্রেনিং করতে গিয়েই যে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়বেন, আশাও করেছিলেন? নিজের সাংঘাতিক অভিজ্ঞতার কথা সামনে আনলেন অভিনেতা। মরতে মরতে বাঁচলেন, আর চোখের সামনে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনলেন।
অভিনেতা তাঁর ছবির শুটিংয়ের জন্যই সার্ফিং ট্রেনিং নিচ্ছিলেন। সমুদ্র তরঙ্গেই সেই প্র্যাকটিস চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তারপর হঠাৎ করেই দেখেন এক ভয়ংকর পরিস্থিতি। অভিনেতা যখন কারেন্টের ন্যায় ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করে সার্ফিং জারি রেখেছেন, ঠিক তখনই ভয়ঙ্কর জোয়ারে জলে ভেসে যাওয়ার উপক্রম। কোনমতে সামলে ওঠেন অভিনেতা। তারপর? একে রাম রাজা নয়, সুগ্রীব দোসর... কারেন্টের মত ঢেউ সামলে উঠতেই সামনে যাকে দেখতে পাওয়া গেল...
Jissu Sengupta-Shiboprasad Mukherjee: কেন পরস্পরের সামনে শুয়ে নমস্কার জানান যীশু-শিবপ্রসাদ? নেপথ্যের কারণ জানলে চমকে যাবেন...
সার্ফিং ট্রেনিং দারুণ কঠিন ছিল। প্রত্যাশাও করেননি যে এমন কিছু হবে তাঁর সঙ্গে। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেই তিনি জানান, ঢেউয়ের মধ্যে যখন টিকে থাকার চেষ্টা করছেন, তখনি হঠাৎ সমুদ্রের পাড়ে থাকা পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খান। এবং সেই মুহূর্তে যে জীবন হুমকির কবলে পড়ে, সেকথাও জানিয়েছিলেন। এখানেই শেষ না। তাঁর সামনে এসে সামুদ্রিক হাঙর। কোনমতে তাঁর পেটে যাওয়া থেকে বাঁচলেন অভিনেতা। প্রসঙ্গে, নিকোলাস কেজ। আমেরিকার জনপ্রিয় অভিনেতা এবং প্রযোজক তিনি। অভিনেতা বলছেন...
"আমি যখন সমুদ্রের ঢেউ এর জোয়ারে ধাক্কা খেয়ে সমানে উঠে যাচ্ছি, এলোপাথাড়ি পড়ছি যখন, তখন একটা সময় মনে হচ্ছিল, আমি হয়তো মরে যাচ্ছি। আমার বাড়িতে একটা ছোট বাচ্চা আছে। আমার মনে হচ্ছিল জীবন হয়তো শেষ হতে চলেছে। এখানেই শেষ না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, পরবর্তীতে তিনি এহেন কিছু আর করতে চান না। যদিও বা তাঁর কাছে সার্ফিং বেশ বিনোদনের বিষয়বস্তু। অবসরে রেড ওয়াইন পান থেকে সার্ফিং সবকিছুই যে আনন্দ দিতে পারে, সেটাই জানালেন।