Ami Sirajer Begum TV Serial: বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। অষ্টাদশ শতকের এই নবাব হারিয়ে যান রাজনীতি, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার বেড়াজালে। সেই সঙ্গে অন্তঃপুরে নিষ্পেষিত হন নবাবের প্রিয় বেগম। এবার ছোটপর্দায় সিরাজ-লুৎফুন্নেসার কাহিনি। এর আগে বড়পর্দায় এই গল্প দেখেছেন বাঙালি দর্শক। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্ধ্যা রায়ের অভিনয় দক্ষতায় সিরাজের গল্প সামনে এসেছিল। এবার 'আমি সিরাজের বেগম'-এর কাহিনি চিত্রায়িত হবে নবাবের প্রিয় বেগম লুৎফুন্নেসার চোখ দিয়ে।
আসলে সিরাজদ্দৌলা এমন একটা চরিত্র যাকে নিয়ে নানা কল্পকাহিনি রয়েছে। তবে এই ধারাবাহিক তৈরি হয়েছে ইতিহাস মেনে। শ্রী পারাবতের বই আমি সিরাজের বেগম অবলম্বনেই মূলত তৈরি হয়েছে এই টেলিভিশন শো। সিরাজের রাজত্বকালের অনেকটাই দেখানো হবে এখানে। আর আজকাল পিরিয়ড ড্রামা নিয়ে কাজ করছে টলিউড।
আরও পড়ুন, Durgesgorer Guptodhon Release: ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’-এর সন্ধানে সোনাদা
কিন্তু সিরাজের এই কাহিনি বলার পেছনে দৌড়ঝাঁপ কম করতে হয়নি দাগ ক্রিয়েটিভ মিডিয়াকে। রীতিমতো হাতে লন্ঠন নিয়ে খুঁজেছেন সিরিয়ালের মুখ্য চরিত্রদের। ধারাবাহিকে সিরাজের ভূমিকায় পর্দায় আসছেন সুপ্রিয়া দেবীর নাতি শন বন্দ্যোপাধ্যায়। আর লুৎফুন্নেসা বেগম হয়েছেন পল্লবী দে। এর আগে ‘রেশম ঝাঁপি’ ধারাবাহিকে দ্বিতীয় মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। মুর্শিদাবাদের ছোট নবাবের হারেমের এক দাসী ছিলেন লুৎফুন্নেসা। সিরাজের তাঁর প্রতি প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল। পরে নবাবের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
ধারাবাহিকে সিরাজের ভূমিকায় পর্দায় আসছেন সুপ্রিয়া দেবীর নাতি শন বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্টার জলসার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চ্যানেল হেড সাগ্নিক ঘোষ জানান, ''স্টার জলসা চিরকালই একটু ভিন্ন ধারার গল্প বলার চেষ্টা করে। প্রয়াস থাকে আশা-আকাঙ্খা ও ক্ষমতায়নের কাহিনি বর্ণনা করার। ১৮ শতকের বাংলার না বলা গল্প আমি সিরাজের বেগম- যা বর্তমান বাংলার অনুপ্রেরণা হতে পারে। সকল বাঁধার বিরুদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে চলার আশা জোগায় এবং 'চলো পল্টাই' এর আইকন হয়ে উঠতে শক্তি দেয়। আশা করব বাংলার দর্শককে এই গল্প মোহিত করবে''।
ইতিহাসকে বিকৃত না করেই যতটা সম্ভব পর্দায় তুলে ধরা যায় সে চেষ্টাই করছে প্রযোজনা সংস্থা। সেট, গয়না, পোশাক ও চিত্রনাট্য সেভাবেই তৈরি হচ্ছে। মুম্বইয়ে এই সিরিয়ালের কিছু দৃশ্যের শুটিং হবে বলেও জানা গিয়েছে। পলাশীর প্রান্তর থেকে পলায়ন করার সময়ে সিরাজের সঙ্গ দিয়েছিলেন এই লুৎফুন্নেসা বেগমই। তবে সিরাজউদ্দৌলা মারা যাবার পর বেগমের দুর্দশার শেষ ছিল না। এই কাহিনিকেই পর্দায় দেখতে যে আগ্রহী দর্শক তার আঁচ পাওয়া গেল টিজারের জনপ্রিয়তাতেই।