বাংলাদেশের ছবি থেকে বাদ পড়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবির নাম তরী। শুরু হয়েছিল ছবির কাজ ও। কিন্তু, দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরুর আগেই আসল গন্ডগোল। শেষ কিছু মাসে বাংলদেশ জুড়ে যা চলছে, তাতে করে শেখ হাসিনা সরকারের যারা ঘনিষ্ঠ ছিলেন তাদেরকে অনেককেই গা ঢাকা দিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। আওয়ামী লীগের অন্যতম ফিরদৌস নিজেও ছিলেন সেই তালিকায়। হাসিনা সরকারের পতনের পর, অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদের কোনও খোঁজ ছিল না। তাই জানা গিয়েছিল, অভিনেতা নাকি তাঁর কলকাতার বান্ধবী ঋতুপর্ণার বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
আর সেকারণেই বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে এবং ইচ্ছের মর্যাদা দিতে বাদ দেওয়া হয়েছে এপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণাকে, এমনই তথ্য মিলেছে বাংলাদেশ মিডিয়া সূত্রে। অন্যদিকে, ঋতুপর্ণা বাদ যেতেই সেই জায়গায় নাকি শ্রীলেখা মিত্র কাজ করছেন। পরিচালক এবং প্রযোজনা সংস্থার তরফে এমন খবর জানা গিয়েছে। তারপরেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
বর্তমানে যা পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে, সেই সময়ে ওপার বাংলায় কাজ করতে যেতে ভয় হচ্ছে না তাঁর? অভিনেত্রী জানালেন…”যেখানে পশ্চিমবাংলায় এতকিছু ঘটছে, সেখানে তো বেঁচে আছি, কাজ করছি। তাহলে ওদিকে কেন নয়?” কিন্তু, ঋতুপর্ণার সঙ্গে সেই আরজি কান্ডের সময় থেকে তাঁর বিবাদ। ঋতুর শঙ্খ বাজানো থেকে শ্যামবাজারের বুকে প্রতিবাদে যাওয়ার ঘটনা সবকিছুতেই শ্রীলেখা মিত্র আওয়াজ তুলেছিলেন। তাহলে আজকের এই বিষয়টা কিভাবে দেখছেন তিনি?
আরও পড়ুন - Pori Moni: ভারত-বাংলাদেশ বিবাদ তুঙ্গে, তাঁর মাঝেই সলমনের 'বিগ বসে' পরীমণি?
অভিনেত্রী জানালেন, "আমি না জানতাম না ঋতুপর্ণার বিষয়টা। ওরা আমার সঙ্গে সিনেমাটার ব্যাপারে যোগাযোগ করেছিলেন। আমার সঙ্গে ওরা সেপ্টেম্বরের আগে যোগাযোগ করে। তখন কিছু ইস্যু হয়ে যাওয়ায়, আমার আর করা হয় নি। পরে গল্পটা শুনে ভাল লেগেছিল। তারপর, ওরা আমার সঙ্গে আলোচনা করল যে, আরও কীভাবে কি করা যায়। তারপর রাকা জান্নাতী বলে একজন এল আমার বাড়িতে। এসে আমায় অনুরোধ করল ছবিটা করার জন্য। তো, আমি তখন বললাম হ্যাঁ গল্পটা আগে শুনেছি। ওদের সঙ্গে ভাল বেশ সম্পর্ক হয়ে গেল।"
ফেরদৌসের সঙ্গে বন্ধুত্ব ঋতুপর্ণার। সেই কারণেই যে তিনি বাদ পড়েছেন এমনটাই খবর। অভিনেত্রী জানান, "হ্যাঁ, তেমনই শুনলাম। সেই যে সরকার পড়ে যাওয়ার পর ঋতুপর্ণার বাড়িতে নাকি ছিল ফেরদৌস। যাই হোক, ওখানে তো একটা রেভেলওশন হয়েছে না। ওখানকার মানুষদের চাহিদার কথা তো মাথায় রাখতেই হবে। তিনটে মেয়ের গল্প এই ছবিটা। ঐ দেশের নায়িকারা রয়েছেন। খুব ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়।"
কিন্তু সেদেশে এখন যা পরিস্থিতি, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে অত্যাচারের নানা কথা কানে আসছে। এমনকি, সমস্যা হচ্ছে ভিসা পেতেও। দুই দেশের মধ্যে সমস্যা অব্যাহত। ভারত সরকার, ভিসা বন্ধ করেছে। সেখানে কী করে শুটিংয়ে যাবেন তিনি? অভিনেত্রীর কথায়, "যেটা ঘটছে বাংলাদেশে সেটা সঠিক না। কিন্তু, একটা জিনিস সংখ্যালঘুদের সবসময় লড়াই করতে হয়। আর ভিসার বিষয় আমি কিছুই জানি না। সেটা প্রযোজক জানে।"