উপার্জন ঠিকমত হচ্ছিল না, সেই কারণেই কেবিসিতে আসতে হয় অমিতাভ বচ্চন ( Amitabh Bachchan ) কে? ঠিক এমনটাই কৌন বনেগা ক্রোড়পতির সেটে নিজেই জানিয়েছেন তিনি। চোখে জল নিয়েই নিজের দুঃসময়ের কথা স্বীকার করেন অমিতাভ খোদ।
Advertisment
শানদার শুক্রবারের এই পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অমিতাভ কন্যা শ্বেতা নন্দা বচ্চন ( Shweta Nanda Bachchan ) এবং নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দা ( Navya Naveli Nanda )। সঙ্গে ভার্চুয়ালি উপস্থিত স্ত্রী জয়া বচ্চনও। জীবনের নানান কথা উঠে আসতে থাকে কাছের দুই মানুষের সম্মুখে। এমন সময়েই শ্বেতা বাবার উদ্দেশ্যে জিজ্ঞাসা করেন আজ ১০০০ তম পর্ব-পূর্তিতে ঠিক কেমন অনুভব করছেন অমিতাভ? উত্তরেই নিজের ভাবুক মনকে আর শান্ত রাখতে পারলেন না সিনিয়র বচ্চন। বলেন, ২১ বছর ধরে কেবিসির সঙ্গে যুক্ত তিনি। টেলিভিশন সম্পর্কে সেইভাবে কোনও জ্ঞান ছিলই না তার। কিন্তু আর্থিক পরিস্থিতি এতই খারাপ ছিল, এমনকি সিনেমাতেও কাজ পাচ্ছিলেন না বহুদিন ধরে - জেদ এবং অর্থের তাড়নায় তিনি কেবিসির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে জুড়ে যান।
প্রসঙ্গেই বলেন, তখন অনেকেই এমনও দাবি করেন যে বড় পর্দার মানুষ ছোট পর্দায় গিয়ে কাজ করলে তার কদর অনেক কমে যায়, কিন্তু কোনকিছুতেই গা করেননি বিগ-বি। পরেই যখন ২০০০ সালে প্রথম পর্বেই দর্শকের অফুরন্ত ভালবাসা এবং প্রশংসা পেতে শুরু করেন, অমিতাভের বক্তব্য সেই মুহূর্তে মনে হয় গোটা পৃথিবীর সব ভাল কিছুই তিনি পেয়ে গেলেন।
শুধু তাই নয়, প্রত্যেক প্রতিযোগীর থেকে নিত্যনতুন কিছু না কিছু শিখতে থাকেন তিনি। সেগুলিকে নিজের মধ্যেই আষ্টেপিষ্টে বেঁধে ফেলেন। কেবিসি থেকেই তার নতুন পরিচয় এবং মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার পথ আরও সুন্দর হয়েছে। পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেও নিজেকে যথেষ্ট ভাগ্যবান বলেই মনে করেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন