অমিতাভ বচ্চন ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে পেশাগতভাবে দারুণ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশের পরে তিনি সিনেমা থেকে প্রায় বিরতি নিয়েছিলেন, তবে ১৯৮৭ সালে বোফর্স কেলেঙ্কারিকে ঘিরে অনেক বিতর্কের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। এই সময়ে অমিতাভের পাবলিক ইমেজ ব্যাপক ধাক্কা খায়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে, অভিনেতা অঞ্জন শ্রীবাস্তব, যিনি একজন ব্যাংকারও ছিলেন এবং অমিতাভের সংস্থা এবিসিএলকে অনেক ঋণের সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন, সেই সময়ের একটি গল্প ভাগ করেছেন যখন অমিতাভ আর্থিকভাবে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, অমিতাভ ব্যাংকের পাওনা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ফ্রাইডে টকিজের সাথে কথোপকথনে অঞ্জন স্মরণ করেছিলেন, যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট করার কথা বলেছিলেন। কারণ অভিনেতা ব্যাঙ্ক ব্রাঞ্চ পরিবর্তন করার কথা ভাবছিলেন। অঞ্জন জানান, যে বচ্চন চেয়ারম্যানকে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরও যখন, বিগ-বি বোফর্স বিতর্কের মাঝখানে ছিলেন, ব্যাঙ্ক তার টাকা ফেরত চেয়েছিল এবং অঞ্জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেই কাজের।
Kasba Gangrape-Tollywood: নির্লজ্জ প্রশাসন! 'ক্ষমতার আস্ফালন প্রদর্শন', ক…
তিনি বলেন, "ব্যাংক বলতে শুরু করে যে তাকে আমাদের টাকা ফেরত দিতে বলুন। আমি ম্যানেজারকে আমার সাথে নিয়ে কমলিস্তান স্টুডিওতে তার শুটিংয়ে গিয়েছিলাম। তিনি (হাত জোড় করে বললেন), 'আমি আপনার প্রত্যেকটা টাকা ফেরত দিয়ে দেব। এবং তিনি তা করেছেনও। তিনি তাঁর কথার মানুষ। অঞ্জন আরও বলেন, "যখন জয়া বচ্চনকে ঋণের গ্যারান্টার হিসেবে চাওয়া হয়েছিল, তিনি সেটাঅ করেছিলেন।"
রাজশ্রী আনপ্লাগডের সঙ্গে আগের কথোপকথনে অঞ্জন বলেছিলেন যে ১৯৯০-এর দশকে এবিসিএল-এর আর্থিক বিপর্যয়ের সময় তিনি অনুভব করেছিলেন, যারা তাঁর আর্থিক দেখাশোনা করতেন, তারাই টাকে বোকা বানাচ্ছেন। তিনি জানান, যখন ব্যাঙ্ক তাঁকে বচ্চনের কাছে পাঠায়, তাঁরা মামলা দায়ের করার কথা ভাবছিলেন, তখন তিনি তাঁদের একাজ করতে বাঁধা দেন। তার কথায়, "আমরা যখন তার সাথে দেখা করি, তিনি সঙ্গে সঙ্গে হাত জোড় করে উঠে দাঁড়ান। বলেন, 'আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার টাকা ফেরত দেব'। কিন্তু, আমরা এ জন্য তাঁর কাছে সেদিন যাইনি বরং, তাঁর হিসাবরক্ষকের ভুলের জন্য গিয়েছিলাম। আমি তাঁকে বললাম, আপনি যখন পারেন তখন টাকা ফেরত দিন এবং আমরা আপনাকে বিশ্বাস করি যে আপনি দেবেন এবং আপনার উদ্দেশ্য সঠিক। কিন্তু এ ধরনের ব্যাংকিংয়ে অন্য ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করবেন না।" তবে, পরবর্তীতে সব টাকা সিনিয়র বচ্চন ফেরত দেন বলেই জানান তিনি।