মন খারাপ, কিন্তু কেন জানালেন বিগ-বি

সংক্রমণের ভয়ে ওরা আমায় ছুঁয়ে দেখে না। চিকিত্্সকদের ভরসার হাত আজ অনেক দূরে।

সংক্রমণের ভয়ে ওরা আমায় ছুঁয়ে দেখে না। চিকিত্্সকদের ভরসার হাত আজ অনেক দূরে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

একাকীত্ব ঘিরে ধরেছে অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনকে। সেই যন্ত্রণার কথা ধরা পড়ল তাঁর লেখা ব্লগে। কোভিড-১৯ কাত করেছে ছয় ফিটের বৃদ্ধ মানুষটিকে। জ্বরের কাঁপুনি স্যালাইন আর ওষুধে ঝিম ধরেছে গোটা শরীরে। ১৫ দিন ধরে করোনার সঙ্গে জুঝছেন অমিতাভ। এরই মধ্য়ে ব্লগ লিখলেন বিগ-বি। রাতের ঠান্ডা ঘরে আমি জেগে থাকি, মোটে ঘুম আসে না। তাই গান গাই। এখানে আমার চারপাশে কেউ নেই। অচ্ছুতের মতো লাগছে নিজেকে। মুক্তি কবে মিলবে? কবে আমি বাড়ি যাবো? সর্বশক্তিমান ভগবানই জানেন।

Advertisment

সংক্রমণের ভয়ে ওরা আমায় ছুঁয়ে দেখে না। চিকিত্্সকদের ভরসার হাত আজ অনেক দূরে। সাদা পিপিইতে মুড়ে রেখেছে তাঁরা নিজেদেরে। কাজের চাপে খুব একটা কথাও বলতে পারে না তাঁরা। যন্ত্রের মতো চিকিত্্সা করছেন ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মী। আপনাদের কাছে ওঁরা অজ্ঞাত। শুধু শুনতে পাই ওদের গলার শব্দ। কত দিন কাউকে দেখি না।

হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীর লড়াইটা তার সম্পবর্ণ একার। অমিতাভ বচ্চন লিখনছেন, কোভিড মুক্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরার পর তার খিটখিট করা স্বাভাবিক। কারণ, অন্য ভাবনা চলতে থাকবে তার মাথায়। কেউ যদি তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখে, আন্য কোনও ব্যবহারের শিকার হন। কাজেই বাাড়ি ফিরতে একটা ভয় কাজ করছে করোনা রোগীদের। কার্যত, অবসাদে ভুগছে অধিকাংশ।

শাহেনশার লেখার ছত্রে ছত্রে ধরা দিয়েছে অবসাদ, মানসিক যন্ত্রণা ও একাকীত্ব।

Advertisment

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাত্্ই রব ওঠে কোভিড মুক্ত হয়েছেন বিগ-বি। কিন্তু সেই খবর ভুল বলে নিজেই জানিয়েছেন অভিনেতা। সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ভক্তদের সঙ্গে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ রাখছেন অমিতাভ। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, ‘এই খবর ভুঁয়ো, দায়িত্বজ্ঞানহীন, মিথ্যে’।

৭৭ বছরের কিংবদন্তি এবং ৪৪ বছরের পুত্র অভিষেক করোনা ধরা পড়ার পরেই নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জুলাইয়ের ১১ তারিখ। এর একসপ্তাহ পরে ঐশ্বর্য এবং আরাধ্যাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার আগে মা এবং কন্যা বাড়িতেই সেল্ফ কোয়ারেন্টানে ছিলেন।

amitabh bachchan