ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের সম্পর্ক ঘিরে নানা আলোচনা। তাঁদের মনোমালিন্য এবং দূরত্ব নিয়ে নানা মন্তব্য উঠে আসছে। এবং প্রথম দিন থেকেই বচ্চন পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে যে হারে বিঁধে ফেলা হচ্ছে, তাতে করেই অমিতাভ এবার মুখ খুলেছেন।
সিনিয়র বচ্চন বরাবরই পরিবারকে সবকিছু থেকে আলাদ রাখেন। তাঁদের নিয়ে সহজে মন্তব্য করতেও দেখা যায় না তাঁকে। কিন্তু ছেলে এবং ছেলের বউকে নিয়ে যখন এত কাটাছেঁড়া, তখন অমিতাভ কী করে চুপ করে থাকবেন। তাই তো, তিনি নিজের ব্লগে মন্তব্য করে বসলেন। শুধু তাই নয়, অভিনেতা এর আগে নিম্রতকে একটি চিঠি পর্যন্ত লিখেছিলেন, সেই নিয়েও হাঙ্গামা হয়েছিল বিরাট।
অভিনেতা অভিষেক এবং ঐশ্বর্যর সম্পর্ক ভাঙার গুজবের মাঝেই এমন কিছু লিখলেন নিজের ব্লগে, যা কিছুটা হলেও রিপ্রেজেন্ট করে তাঁর পরিবারকেও। অভিনেতা নিজের ব্লগ লেখার কারণে বেশ জনপ্রিয়। তাই তো তিনি উল্লেখ করলেন...
"আলাদা হওয়ার জন্য এবং জীবনে এর উপস্থিতি উপভোগ এবং বিশ্বাস করার জন্য, প্রচুর সাহসিকতা লাগে। প্রচুর আন্তরিকতা লাগে। আমি পরিবার সম্পর্কে খুব কমই বলি, কারণ এটি আমার ডোমেন এবং এর গোপনীয়তা আমি বজায় রাখি...” এখানেই শেষ করলেন না তিনি। বরং, নিজের লেখনীর মাধ্যমেই কোনটা গুজব এবং কোনটা সত্যি সেই নিয়েই আওয়াজ তুললেন। অনুমান এবং যাচাই করা খবরের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। অমিতাভ লিখলেন...
"জল্পনা হচ্ছে জল্পনা... এগুলি অনুমান করা অসত্য, যাচাই ছাড়াই। তারা যে পেশায় রয়েছে তার বিজ্ঞাপনগুলি প্রমাণীকরণের জন্য যাচাইকরণ চাওয়া হয়… আমি তাদের পছন্দের পেশায় থাকার তাদের ইচ্ছাকে চ্যালেঞ্জ করব না... এবং আমি সমাজের সেবায় তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করব..."
উল্লেখ্য, অনেকেই ধরে নিয়েছেন, অমিতাভ সম্পূর্ন বিষয়টা ছেলে এবং ঐশ্বর্যকে নিয়ে যে খবর রটেছে সেই উদ্দেশ্যে করেছেন। অভিনেতা এখানেই থামলেন না। বরং, তাঁকে দেখা গেল, অসত্য এবং ভুল তথ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, "এগুলো আর কিছুই না, সন্দেহজনক বীজ বপন করে দেয় এগুলো।"
অনেকেই ভেবে নিয়েছেন যে, এই সমস্ত লেখা তিনি হয়তো বা ঐশ্বর্য এবং অভিষেকের কারণেই লিখেছেন। যদিও, বা অভিষেক কোনোদিন এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। বরং তিনি সোজা জানিয়েছেন, তাঁর দ্বিতীয় বিয়ের খবর যা রটেছে সেটা তিনি নিজেই জানেন না। আর তারিখ যদি জানতে পারেন বাকিরা যেন তাঁকে অবশ্যই জানান।