বিপদ ঘটে ঐশ্বর্যর। সেদিন অমিতাভ ছিলেন সঙ্গে। যা হয়েছিল, সেকথা স্মরণ করেছেন অভিনেতা নিজেই। আর যার সাহায্য সেদিন পেয়েছিলেন বিগ-বি, তিনি আজও ভোলেননি।
গল্পটা ২০০৪ সালের। রাজকুমার সন্তোষীর ছবিতে তখন কাজ করছেন তাঁরা। সেই সময় ঐ ছবিতে কাজ করছেন অজয় দেবগণ, অক্ষয় কুমার সঙ্গে তুষার কাপুর। সেই সেটেই ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে এমন হয়, যে তিনি রীতিমত আতঙ্কে পড়েছিলেন। অমিতাভ শেয়ার করেছেন...
আমরা তখন নাসিকের রাস্তায় কাজ করছি। খাঁকি ছবির একটা দৃশ্য করতেই তখন সবাই রাস্তায়। এবার, স্টান্টম্যান এতজোরে গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রায় ৬০/৭০ কিমি পার আওয়ার, তারপরেই হঠাৎ করে সব স্লাইড করে বেরিয়ে গেল। স্লিপ করে গেল চাকাটা। আমরা সকলে লাফ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। আর তুষার এবং ঐশ্বর্য সেটা করতে পারেননি। তারপর? ঐশ্বর্য সেই বিপদ থেকে বাঁচতে পারেননি। বরং তাঁর সঙ্গে যা হয়েছিল, সেকথা শুনলেও শিউরে উঠতে হয়।
চেয়ারে বসেছিলেন ঐশ্বর্য। গাড়ি তেড়েফুঁড়ে আসতে দেখেও যেন খেই হারিয়ে ফেলেন। অভিনেতা বলেন, "গাড়ি ওকে ধাক্কা মারে তারপর ঠেলতে ঠেলতে একটা ক্যাকটাসের গায়ে গিয়ে ফেলে। অক্ষয় তখন গাড়ি ঠেলে ঐশ্বর্যকে বের করে। এরপরই আমরা হাসপাতালে যাই। এর ভিড় ছিল, মানুষের ভিড় ঠেলে যেতে যে কী সমস্যা হয়েছে! আমরা এই ধরনের VIP সিনড্রোম দেখেছি আগে। কিন্তু ডাক্তার এবং হাসপাতাল খুব ভাল ছিল। কমিশনার খুব সহযোগিতা করেছেন।"
অভিনেত্রীর পরিবার কী জানিয়েছিলেন?
ঐশ্বর্যের মা এই ঘটনা শুনেই সেখানে উপস্থিত হন। এবং অমিতাভকে তাঁকে পরবর্তিতে জিঞ্জাসা করেছিলেন, যে তিনি মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান কিনা মুম্বাই, আমরা তখন অনিল আম্বানির প্রাইভেট প্লেন অর্গানাইজ করেছিলাম। নাসিকে তখন রাতে ল্যান্ডিং সুবিধা ছিল না। আমাদের মিলিটারি বেসমেন্ট থেকে অনুমতি নেওয়ার বিষয় ছিল।
তবে, যথেষ্ট ভয় পেয়েছিলেন অমিতাভ। তাঁর কথায়, "অনেকেই বিষয়টাকে ঝেড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, না, আমি পারি নি। ভয়ের চোটে ঘুম হয়নি আমার। ঐশ্বর্যর পিঠে ভর্তি ক্যাকটাসের কাঁটা।"