ইন্ডাস্ট্রিতে একসঙ্গে কাজ করতে গেলে কিছু হিরোদের মধ্যে বন্ধুত্ব বেজায় সুন্দর হয়। টপ ক্লাস টক্করের বাইরে গিয়েও তাঁদের বন্ধুত্ব দেখার মত হয়। আর বন্ধুত্বে যদি গল্প না থাকে তবে সেটি 'বন্ধুত্ব' শব্দটি বলার মত নয়।
প্রসঙ্গে অমিতাভ বচ্চন এবং শত্রুঘ্ন সিনহা। দুজনেই বেজায় ভাল বন্ধু। একসঙ্গে কাজ করেছেন প্রচুর ছবিতে। তবে ১৯৮১ সালে নসিব শেষ ছবি একসঙ্গে কাজ করেছেন। কিন্তু, প্রথম সাক্ষাতের কথা আজও ভোলেননি তাঁরা। তাই বলে, শত্রুঘ্নকে একদা এক পরিচালক বলেছিলেন উটের মত অমিতাভ। কিন্তু সেই পরিচালকের ছবিতেই অমিতাভ হয়েছিলেন হিরো আর শত্রুঘ্ন হয়েছিলেন ভিলেন। তবে, দুজনে যে একে অপরকে নিদারুণ চেনেন সেকথা প্রকাশ্যে জানালেন। এমনকি শত্রুঘ্নর মেজাজ এবং মর্জির পরিচয় পর্যন্ত দিলেন অমিতাভ।
আরও পড়ুন < বিবাহিত পুরুষদেরই ভাল লাগত? লিডিং হিরোইন হয়েও বিয়ে না করার কারণ জানান সাবিত্রী >
কিংবদন্তী বন্ধুর উদ্দেশ্যে বলেন, "আজ পর্যন্ত কোনদিন সঠিক টাইমে কোথাও পৌঁছায় নি। একটা ফিল্ম সেট থেকে অন্যত্র যেতেও সবার থেকে বেশি সময় নিতেন। ওর কাছেই গাড়ি ছিল। আমরা ওর গাড়ি করেই এদিক ওদিক যেতাম তাতেও সবসময় সব জায়গায় দেরি করে পৌঁছেছি। এমনকি এয়ারপোর্টে ওর জন্য দৌড়াদৌড়ি লেগে যায়। সেখানে যারা চাকরি করেন, এয়ারলাইনের সকলে দৌড়ে গিয়ে ওকে ডাকলেও ও যাবে না। সবসময় একটাই কথা... আরে দাঁড়াও ভাই, এখনও অনেক সময়, আসছি।"
দুই বন্ধু বিরাট মাপের তারকা হলেও তাঁদের মধ্যে বিশ্বাস এবং ভালবাসা কিন্তু একই আছে। দুজনের সেক্রেটারি ছিলেন একজনই। সেই সূত্রেই আলাপ। আজও সিনেমায় কাজ করে চলেছেন অমিতাভ। অন্যদিকে রাজনীতিতে পুরোদমে এগিয়ে রয়েছেন শত্রুঘ্ন।