কলকাতার সঙ্গে তার সম্পর্ক একদম ভিন্ন। নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটা তিনি কলকাতাতেই ছিলেন। বলা বাহুল্য পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ছিলেন। আর তারপরে তো কলকাতার মেয়েকে বিয়ে করে এখানকার জামাই হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রসঙ্গে অমিতাভ বচ্চন।
একসময় যে মানুষটা কলকাতার ফুচকা ঝালমুড়ি খেয়ে দিনে ক্ষুধা নিবারণ করতেন, কলকাতার অলিগলি তাঁর চেনা। সেই কারণেই তো, হট সিটে যখন কলকাতার এক বাঙালি বসে তখন তার সঙ্গে তিলোত্তমার আলাচারিতা না করলেই নয়। সিনিয়র বচ্চনকেও দেখা গেল একইভাবে। প্রতিযোগীর সঙ্গে তিনি নানা বিষয়ে গল্প করলেন।
কিন্তু অভিনেতার চোখের শাইন বদলে গেল যখন তিনি নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে কথা বলেন। প্রতিযোগীকে তিনি জিজ্ঞেস করেন, আপনি যেখানে চাকরি করেন সেটা কি কলকাতাতেই। উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ! কলকাতা ডালহৌসিতে। এই শুনেই অমিতাভের স্মৃতি ভেসে এল। অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল ওখানে তো আমার অফিস ছিল, তাই জিজ্ঞেস করলাম। এই বলেই তাঁর অফিস কোথায় ছিল সেই প্রসঙ্গে ধারণা দেন অমিতাভ।
এবং যারা মোটামুটি অফিস পাড়ার সদস্য, তাঁর সেখানের নানা জায়গা চেনেন। অমিতাভের অফিস কোথায় ছিল জানেন? চেনা জায়গার নাম শুনেই সেই প্রতিযোগী বলে বসেন, 'বেঙ্গল চেম্বার্স অফ কমার্স এর ওদিকে?' ব্যাস! আর কি! অভিনেতা উজ্জ্বল চোখে তাকিয়ে বললেন...
"হ্যাঁ, একদম ওখানেই। আহা! আপনি কি যে ভাল করলেন বেঙ্গল চেম্বার্স এর নাম নিলেন। আমার এখনও মনে আছে। ওখানেই আমার কোম্পানি ছিল। যার নাম ছিল বার্ড অ্যান্ড কোম্পানি। সেখানে আমার ৫০০ টাকা বেতন ছিল।" এবার প্রথম নয়। এর আগেও যখন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কেবিসির মঞ্চে গিয়েছিলেন, তখনো অভিনেতা জানিয়েছিলেন কলকাতা নানান জায়গায় তার স্মৃতি। কারণ কোন জায়গাতেই তুমি স্থায়ী ভাবে থাকতে পারতেন না অর্থের অভাবে। তাই তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হত মাঝেমধ্যেই। আর তখনই, তিনি এদিক ওদিক জায়গা খুঁজে বেড়াতেন।
তাঁর সঙ্গে এও জানিয়েছিলেন, ঝালমুড়ি এবং ফুচকা খেয়েই বেশিরভাগ সময়টা কাটিয়েছিলেন। এখান থেকেই কেরিয়ারের শুরুটা করেছিলেন তিনি।