Advertisment

জবাব দিয়ে দেন চিকিৎসক! 'মৃতপ্রায়' অমিতাভের পাশে ঠায় বসে হনুমান চলিশা পাঠ করেন জয়া

মাটির মত শান্ত হয়ে গিয়েছিলেন জয়া, দেখে বেশ অবাক হয়েছিলেন অনেকেই...

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
Amitabh bachchan, jaya bachchan, amitabh-jaya, amitabh jaya marriage, amitabh bachchan accident, amitabh bachchan life, amitabh bachchan entertainment news, indian express news, express news, amitabh bachchan indian express, bollywood, bolly news, বলিউড, টলিউড, টলি নিউজ, Tolly world, tolly news

অমিতাভ-জয়া

৫০ বছর একসঙ্গে অমিতাভ এবং জয়া। খুনসুটি - ভালবাসায় কেটে গিয়েছে এতগুলো বছর। অভিনয় জীবনে হোক অথবা সঙ্গী হিসেবে, জয়া ছায়ার মত পাশে ছিলেন অমিতাভের। নিজের ওপর অগাধ বিশ্বাস ছিল এতোটাই, যে অমিতাভ শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শুনেও আশা ছাড়তে পারেন নি।

Advertisment

কুলি সিনেমার সেই ভয়াবহ বিপদ, আজও ভোলেন নি জয়া। অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং করতে গিয়েই ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন অমিতাভ। এত বছরের অভিনয় জীবন, তবে সেদিনের বিপদ যেন মৃত্যুর মুখে ঠেলে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে। জবাব দিয়েছিলেন চিকিৎসক, বাঁচবেন কিনা এই নিয়েও ঘোর সন্দেহ ছিল। তবে জয়া সারাক্ষণ শুধু এটুকু নিশ্চিন্ত ছিলেন যে ফিরে আসবেন অমিতাভ। লড়াই করে জিতবেন তিনি।

কী হয়েছিল অমিতাভের?

শুটিংয়ের সময় আন্দাজ সঠিক না লাগতেই, বিপদ! পড়ে গিয়ে বিভৎস পরিস্থিতি। প্রচুর রক্তক্ষরণ সঙ্গে তন্ত্র সারা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ডাক্তাররা বলেছিলেন, সাড়া দিচ্ছেন না অমিতাভ। কোমায় চলে গিয়েছেন। পরিবারের সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে খারাপ কিছু হতে চলেছে। জয়াকেও বলেছিলেন, মনের জোর রাখতে। কিন্তু তিনি?

ছেলে অভিষেক এবং মেয়ে শ্বেতাকে সামলানো মুশকিল হয়ে গিয়েছিল তাঁর পক্ষে। তাঁদের সামলাতে গিয়েই বেশ দেরি করে হাসপাতালে আসেন তিনি। জয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, চিকিৎসক বলেছিলেন আপনার প্রার্থনাই পারে উনাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে। বিশ্বাস করুন, আমার সঙ্গে হনুমান চলিশা ছিল। কিন্তু, আমার পড়ার মত অবস্থা ছিল না। শান্ত ছিলাম। তবে, একটা সময় পর দেখলাম যে অমিতাভের হার্ট পাম্প করা হচ্ছে। একটু সময় পর দেখলাম ওর পা নড়ছে। আমি তৎক্ষণাৎ বলে উঠি, ওই তো আঙ্গুল নড়ছে ওর। তারপরই লড়াই জারি, আসতে আসতে সুস্থ হয়ে উঠছিল ও।

বিয়ের পঞ্চাশ বছর পরেও আজও অটুট সেই ভালবাসা। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে মেয়ে শ্বেতা বলছেন, ৫০ বছর পার। এবার তোমাদের জিজ্ঞেস করা যেতেই পারে সফল বিবাহিত  জীবনের রহস্য কি? আমার মা হয়তো বলবে ভালবাসা, আর আমার বাবা, তাঁর কাছে তাঁর স্ত্রী সবসময় সঠিক।

bollywood Entertainment News
Advertisment