New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/27/1sk3nh4GbMvaFSFEX8Vk.jpg)
কেন একথা বললেন অনন্যা? Photograph: (Instagram)
অভিনেত্রীর সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে এই আইকনিক চরিত্রের জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি সেসময়ের নানা গল্প জানালেন। এবং তাঁর সঙ্গে শেয়ার করলেন এক দারুণ দিনের কথা।
কেন একথা বললেন অনন্যা? Photograph: (Instagram)
বাঙলা টেলিভিশনে যে কয়েকটি আইকনিক চরিত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাঁর মধ্যে অন্যতম হল সুবর্ণলতা। আশাপূর্ণা দেবীর লেখনীতে এই চরিত্র টেলি দর্শকদের খুব, পছন্দের হয়ে ওঠে। তাঁর থেকেও বেশি কাছের হয়ে ওঠেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিনয় যেন ভীষণ প্রশংসা পায় সকলের কাছে। শুধু তাই নয়, এই সিরিয়াল এত জনপ্রিয়তা পায়, যে করোনা কালেও সেটি দেখানো হয়। কিন্তু, সুবর্ণলতা ধারাবাহিকের সময়, অনন্যার ভাবনা চিন্তা কী ছিল?
অভিনেত্রীর সঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে এই আইকনিক চরিত্রের জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি সেসময়ের নানা গল্প জানালেন। এবং তাঁর সঙ্গে শেয়ার করলেন এক দারুণ দিনের কথা। অনন্যা যেন আশাপূর্ণা দেবীর এই চরিত্রকে পর্দায় জীবন্ত করে তুলেছিলেন। এবং, অনেকের কাছে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন আসল সুবর্ণ।
সুবর্নলতা চরিত্রটা তোমায় হিট কী করে করেছিল?
গল্পটা অবশ্যই। আশাপূর্ণা দেবীর তিনটে বই আমি পড়েছিলাম। সত্যবতী এবং সুবর্ণলতার যে সংগ্রাম, সেটা আমার খুব ভাল লেগেছিল। আর সত্যি বলতে গেলে, আমি নিজেও একজন এমন মানুষ, যে নারীশিক্ষায় বিশ্বাসী। সাধারণ মানুষ হিসেবে বুঝতে হবে যে শিক্ষার কতটা প্রয়োজন। সত্যবতী এবং সুবর্ন হিসেবে এগুলো আমায় হিট করেছিল।
মানুষ যে সুবর্ন হিসেবে একসময় তোমায় চিনবে এটা আশা করেছিলেন?
এটা কাজ করতে যাওয়ার সময় ভাবা যায় না। বেশিরভাগ সময়, দেখা যায় আমরা একটা চরিত্রকে জান প্রান দিয়ে করার চেষ্টা করি। কিছু বছর পর, বা সময় পর, সেটা হয়তো ভাল দিকে চালিত হয়। এটা শুরুর দিকেই ভাবা যায় না। আমি মন থেকে ইনভেস্টেড থাকতাম।
সুবর্নলতার ফ্লোরে কোনও আইকনিক মুহূর্ত?
আছে একটা মজার ঘটনা। আমি যখন সুবর্নলতা করছি, তখন আমি জাতীয় পুরস্কার পাই। যেদিন রাত্রে ঘোষণা হয়, তাঁর পরের দিন পুরো মিডিয়া জড়ো হয়ে গিয়েছিল শুটিং ফ্লোরে। এবং, কেন বলছি এই কথাটা। আমি সেদিন ফ্লোরে গিয়েছি, শট দিয়েছি প্রতিদিনের মত। কাউকে কিন্তু জানাই নি। একটি রান্নাঘরের শট ছিল। হঠাৎ দুপুরবেলা নাগাদ, স্টুডিও জুড়ে পুরো মিডিয়া। ওরা খবর পেয়ে সেখানে জড়ো হয়ে গিয়েছিল। স্টুডিও ভরে গিয়েছিল। তখন, ইউনিটের লোকেরা জানতে পারল। আমার ফ্লোরের চিফ AD সে তো অবাক। কী হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছে না। উনি বলছেন, একি! দিদি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে, আর এখানে বসে রান্নার শট দিচ্ছে? কী সাংঘাতিক। আমি কাউকে তখন সাক্ষাৎকার দিচ্ছি না। আমায় সহ পরিচালক এসে বললেন, তুমি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছ, আর এখন রান্নাঘরে এসে বেগুন কাটছ?
যদিও, অভিনেত্রী জানান, কাজ আমার কাছে প্রথম পছন্দ। সেদিন তিনি, কাউকে প্যাক আপ হওয়ার আগে সাক্ষাৎকার দেননি। বরং, সুবর্ণলতার ভূমিকায় নিজের কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন।