বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার, পর পর ২ দিন ধরে জেরা করা হয় অনন্যা পাণ্ডেকে (Ananya Pandey)। আরিয়ান খান মাদককাণ্ডে অভিনেত্রী কোনওভাবে জড়িত কিনা, সেটা যাচাই করতেই কড়া জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছিলেন অনন্যা। শুক্রবার তাঁকে ডাকা হয়েছিল সকাল ১১টার সময়। কিন্তু নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) অফিসে অভিনেত্রী পৌঁছন বেলা ২টোয়। আর অনন্যার এমন কার্যকলাপেই বেজায় ক্ষেপে যান এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে (Sameer Wankhede)। অতঃপর স্টার-কিডকে তিরস্কার করতেও পিছপা হননি তিনি।
জেরার আগেই অভিনেত্রীকে সপাট জানিয়ে দেন তিনি যে, "এনসিবি অফিসটা কোনও সিনেমার প্রোডাকশন হাউজ নয়, যে চাইলেই দেরি করে আসা যায়। এটা একটা কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতর।" এরপর থেকে অভিনেত্রী যেন নির্ধারিত সময়েই উপস্থিত থাকেন, কড়াভাবে সেই নির্দেশও দেন তিনি অনন্যা পাণ্ডেকে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর তো এমনটাই বলছে। এদিকে মেয়ের চিন্তায় এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের কেবিনের বাইরে বসেছিলেন চাঙ্কি পাণ্ডে।
<আরও পড়ুন: ‘আমার নাম-যশ সন্তানদের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে’, আগেভাগেই আঁচ করেছিলেন শাহরুখ>
প্রসঙ্গত, বুধবারই আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এক উঠতি বলিউড অভিনেত্রীর নাম পাওয়ার কথা কোর্টকে জানিয়েছিলেন এনসিবি আধিকারিকরা। সেই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার মন্নতে হানা দেওয়ার পর চাঙ্কি-অনন্যাদের বাড়িতেও যান নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আরেকটা টিম। বাজেয়াপ্ত করা হয় অভিনেত্রীর মোবাইল, ল্যাপটপ-সহ একাধিক গ্যাজেটস। এদিন এনসিবি অফিসে ২ ঘণ্টা জেরার পর অভিনেত্রীর উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের শুক্রবার টানা ৪ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরা করা হয় তাঁকে। সোমবার আবার সকালে ডেকে পাঠানো হয়েছে অনন্যাকে।
উল্লেখ্য, শাহরুখের (Shah Rukh Khan) সঙ্গে চাঙ্কির (Chunkey Pandey) পরিবারের ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই জানা। স্ত্রী গৌরী খানের বন্ধু চাঙ্কির স্ত্রী। সেই সূত্রে আরিয়ান খানের সঙ্গেও বেজায় ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব অনন্যা পাণ্ডের। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে অনন্যাকে ‘অ্যানি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন আরিয়ান। এমনকী তাঁদের মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথনও মিলেছে সেখানে। এদিকে জেরার মুখে অনন্যা জানিয়েছেন যে, সেসব নিছকই রসিকতা করে বলা হয়েছে। যদিও অভিনেত্রীর কাছ থেকে কোনওরকম মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন