করোনা আবহ। তাই একেবারে ঘরোয়া, সাদামাটাভাবেই বিয়েটা সেরে ফেললেন বাংলা টেলিভিশন জগতের দুই তারকা অনিন্দিতা রায়চৌধুরী (Anindita Raychaudhury) এবং সুদীপ সরকার (Sudip Sarkar)। তা বলে সাধারণতন্ত্র দিবসেই দাম্পত্যজীবনের গাঁটছড়া বাধলেন দুই তারকা! এপ্রসঙ্গে, সুদীপ-অনিন্দিতার স্পষ্ট তবে রসিক উত্তর, "প্রতি বছর বিবাহবার্ষিকীতে ছুটি থাকবে, তাই।"
Advertisment
পাঁচ মাসের প্রেম। বন্ধুত্ব অবশ্য অনেক আগে থেকেই ছিল। একে-অপরের ব্যক্তিগত জীবনের সবটাই জানেন। দুই তারকাই জন্মসূত্রে চুঁচুড়ার। তবে অগ্নিসাক্ষী করে নয়, বরং ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের সাক্ষী রেখে ছিমছামভাবেই আইনি বিবাহ সেরে ফেললেন সুদীপ-অনিন্দিতা।
উপস্থিত ছিলেন মোট ৫৫জন। বন্ধু মানালি মণীষা দে, অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, মৈনাক, অজোপা মুখার্জিও রয়েছেন সেই তালিকায়। এক হোটেলেই বসেছিল টেলিতারকা জুটির বিয়ের আসর। রেজিস্ট্রির পাশাপাশি মালাবদল, আংটিবদল, সিঁদুরদান সবটাই হল। টুকটুকে লাল বেনারসি, খোপায় ফুল, সোনার গয়নায় সেজে নবপরিণীতা অনিন্দিতার থেকে চোখ ফেরানোই যেন দায় হয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে সুদীপ বেছে নিয়েছিলেন ঘিয়ে রঙের পাঞ্জাবীর সঙ্গে লাল মানানসই জহরকোট। নেপথ্যে ডিজাইনার অভিষেক রায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলেই হোটেল থেকে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হলেন সুদীপ-অনিন্দিতা। সিঁদুরদানের ভিডিও শেয়ার করেছেন খোদ অভিনেত্রী মানালি। তবে ২৬ জানুয়ারি সাত পাকে বাধা পড়ার বুদ্ধিটা কিন্তু অনিন্দিতাকে দিয়েছিলেন বন্ধু মানালিই। তাঁরই পরামর্শ ছিল যে, জাতীয় ছুটির দিনে বিয়ে করলে সারাজীবন বিবাহবার্ষিকীতে ছুটি পাওয়া যাবে। কারণ মানালি-অভিমন্যুও ১৫ আগস্ট বিয়ে করেছিলেন।
বিয়ের পরই স্বামী সুদীপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অনিন্দিতা। বললেন, "সুদীপ খুব কেয়ারিং। দুই পক্ষের মা-বাবার সঙ্গেই সময় বের করে যোগাযোগ রাখেন প্রতিনিয়ত।" তা বিয়ের মেন্যুতে কী ছিল? শেষপাতে না বললেই নয়! আদ্যোপান্ত বাঙালি মেন্যু- সরু চালের সাদা ভাত, ডাল, সরু আলুভাজা, চিকেন, মাটন, চাটনি, বেকড রসগোল্লা, আইসক্রিম, পান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন