Anindya-Madhuja Divorce News :শহর জুড়ে এখন প্রেমের মরশুম। ভালাবাসার জোয়ারে গা ভাসিয়েছে লাভবার্ডস থেকে হ্যাপিলি ম্যারেড দম্পতিরাও। আলোর রোশনাইতে সেজে উঠেছে শহরের রেস্তোরাঁগুলো। হাতে হাত রেখে প্রিয় মানুষটার সঙ্গে কেউ এসেছেন ডিনার ডেটে তো কউ গিয়েছেন সিনেমাহলে। চারিদিকে যখন প্রেমের হাওয়া তখন বিষাদের সুর চন্দ্রবিন্দুর গায়ক অনিন্দ্যর জীবনে। বিনোদনের দুনিয়ায় ফের বিচ্ছেদ! গত ১৮ অগাস্ট গায়ক অনিন্দ্যর স্ত্রী মধুজা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাম্পত্যে ভাঙনের খবরনিজেই জানান। শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই আইনি বিচ্ছেদ হবে অনিন্দ্য-মধুজার। খবরের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে অনিন্দ্যর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে উত্তর পাওয়া যায়নি।
অগাস্টে যখন তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে যখন উত্তাল শহর তখন মধুজা সোশ্যাল মিডিয়ায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের একটি পঙক্তির উল্লেখ করে লিখেছিলেন, মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে, উধাও মনের আহা উধাও মনের পাখা মেলবি আয়। আরও লিখেছিলেন, ১৪ বছরের ঘরে-বাইরের লড়াইয়ে তিনি ক্লান্ত। তাই ২০১৯-এ মহানগর ছেড়ে মায়ানগরে নতুন ঠিকানায় পারি দিয়েছেন। সফর সঙ্গী একমাত্র সন্তান জুজু। দাম্পত্যে চিড় ধরার মাঝেই সন্তানকে নিয়ে ঘুরতেও যান। যদি সেই মিলন ছিল সাময়িক। তবে ছেলের জন্য স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভাঙা কাচ জুড়তে চেয়েছিলেন তাঁরা।
মধুজা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত জীবনের অন্ধকার দিক তুলে ধরলেও অনিন্দ্য কিন্তু, একেবারে নীরব। দীর্ঘ দাম্পত্যে ইতি টানা মোটই সহজ ব্যাপার নয়। দুজনেই ব্যথাতুর। মধুজা বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক অতীতে লিখেছিলেন, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!