/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/02/rudra-2025-09-02-16-23-04.jpg)
যা বললেন রুদ্রনীল...
'ও দেবী তোর কেমন পা, ধুলা লাগে না...', তখন বাম আমলের শেষের দিক, ২০০৯-২০১০। মঞ্চে আবির্ভাবেই দর্শকদের গানে এবং অভিনয়ে মুগ্ধ করেছিলেন অনির্বাণ। এমনকি, প্রয়াত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর মঞ্চে প্রবেশকে প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা গিরীশ ঘোষের সঙ্গে তুলনা করেন। প্রথম অভিনয় 'দেবী সর্পমস্তা' - নাটকেই নিজের গায়কী চিনিয়েছিলেন পর্দার 'খোকা'। এরপরে, শাহজাহান রিজেন্সি থেকে শুরু করে, বল্লভগড়ের রূপকথা, প্লেব্যাকে নজর কেড়েছেন অনির্বাণ। হালফিলে, তাঁর 'হুলিগানিজম' এখন খবরের শিরোনামে।
গতকাল থেকে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল একটি গানের ভিডিও। অনির্বাণ ভট্টাচার্য তাঁর ব্যান্ড হুলিগানিজমকে সঙ্গে নিয়ে যে গান গতকাল গেয়ে দিয়েছেন, তারপর থেকে তাঁর সাহসের প্রশংসা করতে হয়। এমনকি তাঁর এই গান নিয়ে নানা চর্চা। নিজের গানের মাধ্যমে বঙ্গ রাজনীতির তিন দাপুটে নেতাকে নিয়ে যে খোরাক করলেন, তারপর হাসি ধরছে না পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের। অনির্বাণ নাম করে করে 'ঘোষেদের' - নিয়ে মজা করেছেন। দীলিপ - শতরুপ থেকে কুণাল, অনির্বাণ যা খোঁচা মেরেছেন...
তাহলে কি ঘোষেদের প্রতি তাঁর বেশ রাগ? নাকি পুরোটাই মজার ছলে করেছেন। কিন্তু, আরেক ঘোষ যে বাদ গেলেন? বিজেপি সমর্থক রুদ্রনীল- তিনি ভীষণ সক্রিয় নিজের সমাজ মাধ্যমে। যেকোনো বিষয়েই নানা মন্তব্য রাখেন। তবে, খেয়াল করলে দেখা যাবে, রুদ্রনীল ঘোষকে নিয়ে নানা মিম ভাইরাল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা তাঁর সঙ্গে যখন যোগাযোগ করেছিল, তিনি কী বললেন? রুদ্রর কথায়...
"আমি শুনলাম। গতকাল কিছু একটা বিষয় কানে এসেছিল। কিন্তু প্রথমত, যেটা আমার মনে হয়েছিল, গান কিংবা কবিতা যেকোনো ক্ষেত্রেই মানুষ তাঁর নিজের অভিব্যাক্তি বসাতে পারে। কিন্তু, খেয়াল করলে দেখা যাবে, অনির্বাণের গানে একবারও উঠে এল না, কারা ওকে কাজ করতে দিচ্ছে না। যে কারণে ওকে গান গেয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত যন্ত্রণার। বেঁচে থাকতে মানুষকে অনেককিছু করতে হয়। শাসকদল ২০২১ এ আমাকে বয়কট করানোর জন্য যে কালো ব্যাচ পরিয়ে মিছিল করেছিল, তখন অনির্বাণ ও আমার বন্ধুরা চুপ ছিল। আমি কিন্তু, এই একই প্রসঙ্গে কথা বলেছিলাম। এখানে তুঘলকি আইন চলছে। ভারতের অন্য কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে এটা চলে না।"
অনির্বাণকে নিয়ে আর কী কী বললেন রুদ্র?
অনির্বাণকে যে পেট চালানোর ক্ষেত্রে যে গান গাইতে হচ্ছে, ও ছবির শুটিং করতে গেলেই বাঁধা দেওয়া হচ্ছে, সোজা ভাষায় বয়কট করা হচ্ছে, সেটা অদ্ভুত। তবে, আমার এই গানটা খারাপ লাগেনি। শুধু ২-৩ লাইন অন্য বিষয় নিয়ে বললে আমি খুশি হতাম। ওর এই গান বানানোর স্বাধীনতা আছে। ও যে এই ৩ দলের চর্চিত নামকে তুলে আনাতে যে হাততালি পেয়েছে ও, তাতে পরবর্তীতে আরও এগিয়ে যাবে ও। গানের কনসার্টে ওর জনপ্রিয়তা বারবে। কিন্তু, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের কি যন্ত্রণা কমল?