তারকাদের প্রেম, বিয়ে ইত্যাদি নিয়ে হেডলাইন আকছার হয়ে থাকে। বার বার তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা করা হয়। কিছুদিন আগে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যের বিয়ে নিয়ে চর্চা শুরু হয় টলিউডে। সংবাদমাধ্যমে তা ছড়িয়েও পড়ে। এবার তাতেই উষ্মা প্রকাশ করলেন অভিনেতা।
এদিন সোশাল মিডিয়ায় তাঁর অফিসিয়াল পেজ থেকে পোস্ট করে সংবাদমাধ্যমকে একহাত নিলেন তিনি। অনির্বাণ স্বীকার করছেন, তাঁর ব্যক্তিগত জীবন আলোচিত হবে সেলিব্রিটি হওয়ার সুবাদে, কারণ এমনটা "মিডিয়া দ্বারা সুপ্রতিষ্ঠিত", কিন্তু তাঁর সঙ্গে যাঁর বা যাঁদের নাম জড়ানো হচ্ছে, তাঁরা তারকা নন। সুতরাং, তাঁদের ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ করাটা অনাবশ্যক।
তিনি লিখেছেন, "আমার বিয়ে নিয়ে এবং কাকে বিয়ে করবো তাই নিয়ে একটি সবিস্তার আলোচনা ,সপ্তাহ খানেক ধরে পত্র-পত্রিকা ও বিভিন্ন YoutTube portal এ ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু আমার "সেলেব্রিটি" তকমা জুটেছে,তাই , হয়তো মানুষজনের আমার বিয়ে নিয়ে আগ্রহ আছে,থাকতেই পারে,কারণ সেলিব্রিটির কাজ ব্যতিরেকে তার ব্যক্তিগত জীবন ও তার ঘটনাবলীর চর্চা মিডিয়া দ্বারা (কখনো শিল্পীর স্ব-উদ্যোগেও) এতটাই সু-প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা,যে সেইটাই স্বাভাবিক হয়ে গেছে,এর উল্টোটা কোনো এক প্রাচীনকালে স্বাভাবিক থাকলেও,এখন এই উল্টো দাবি অস্বাভাবিক,এমনকি ন্যাকা,বা বোকা বোকা মনে হতে পারে।
তবুও,আমি এখনো মনে করি,যে সেলেব্রিটি পরিচয় সত্ত্বেও আমার গোপনীয়তার অধিকার আছে।যদিও সংবাদ মাধ্যমের ২৪×৭ এর চাপ,পাতা ভরানোর চাপ,তৎসহ ফেক নিউজ বা ম্যানুফ্যাকচার্ড নিউজের রমরমা,তবু আমার এই অধিকারের দাবি আছে। "আমি" এমন মনে করি,কারণ,আমি আজ পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক কে আমার ইন্টারভিউ নিতে অনুরোধ করিনি,আমার পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে, দুর্ঘটনায়,আনন্দে, হতাশায়,কান্নায়, হাসিতে আহ্বান করিনি,এমনকি ব্যক্তিগত ভাবে কোনো কাজের খবর ছড়িয়ে দিতেও সাহায্য চাইনি। থিয়েটার ও সিনেমার সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের যে স্বাভাবিক সম্পর্ক,সেই যোগাযোগই বজায় রেখে এসেছি সম্মান ও ভদ্রতার সঙ্গে ,তাই আমার গোপনীয়তার অধিকারে তাদের এই আঘাত,হস্তক্ষেপ আমার কাছে অত্যন্ত অপমানের।''
প্রসঙ্গত, সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পাঠকদের আগ্রহ যে থাকে তা নতুন করে বলে দিতে হবে না। আর যদি সেই নাম অনির্বাণ ভট্টাচার্য হয়, তাহলে তা দ্বিগুণ। কারণ তিনি এই মূহুর্তে টলিউডের অন্যতম প্রতিভাবান অভিনেতা।