ফেডারেশন বনাম পরিচালক দ্বন্দ্ব ক্রমেই বাড়ছে। বিশেষ করে দেখা যাচ্ছে অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সেই ক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। এবং বাকি সকলেই জোটবদ্ধ দল থেকে সরে গিয়ে নিজেদের কাজে ব্যস্ত। একমাত্র ফেঁসে গিয়েছেন কি তবে পরমব্রত এবং অনির্বাণ। আর ব্যস্ততম পরিচালক এবং অভিনেতাদের দলে তাঁরাও আছেন।
পরিচালক এবং ফেডারেশনের সদস্যদের মধ্যে কাজ নিয়ে দ্বন্দ্ব বাড়াতে সুযোগ হারাচ্ছেন টেকনিশিয়ানরা। বারবার এমন কথাই বলেছেন পরিচালকরা। এবং তাঁরা এও বারবার বলেছেন কথা বলে সমস্যা মিটিয়ে নিতে চান। অনেক পরিচালক যেমন সৃজিত মুখোপাধ্যায় থেকে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় - এরা প্রথম থেকে যে দলে ছিলেন, সেই দলে তাঁরা আর নেই। বরং, তাঁরা সরে গিয়েছেন। এবং যে যার নিজের কাজে ব্যস্ত। কিন্তু, একমাত্র কি যত দোষ নন্দ ঘোষ পরমব্রত এবং অনির্বাণ। পক্ষিরাজের ডিম আসছে। এবং সেই উপলক্ষেই, অনির্বাণ এক সংবাদমাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে ফেডারেশনের বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলছেন...
ফেডারেশনের সঙ্গে অনির্বাণ পরমব্রতর কোনও ঝামেলা নেই। আমরা তো ফেডারেশনের আন্ডারে। ফেডারেশন তো আমাদেরও। তাঁদের অন্তর্বতী কিছু দলের সঙ্গে কিংবা ব্যক্তিগোষ্ঠীর সঙ্গে কিছু সমস্যা হয়েছে। বলা উচিত একটা বিবাদ তৈরি হয়েছে। এবার সেটা যেখানে যেখানে যাচ্ছে। মানে, টেকনিশিয়ান স্টুডিও থেকে শুরু হল, তারপর সেটা কোর্টে গেল। এবার দেখা যাক, সেটা কোথায় কোথায় যায়।" কিন্তু একে একে দল ছেড়ে পরিচালকরা নিজের মতো করে সবটাই গুছিয়ে নিয়েছেন। সেখানে কি আঘাত পেয়েছেন তিনি?
অনির্বাণের কথায়, "এক্ষেত্রে আমি একটা কথা বলতে চাই, যারা সরে যাচ্ছেন, তাঁরা হয়তো কিছু কিছু কথায় যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। এটাই তো গণতন্ত্র। এতে লাভ এবং লোকসান দুইই আছে। গণতন্ত্রের জোর কী বলুন? যে আমি লাভ দেখতে পাচ্ছি তাহলে আমি সেখানে থাকব। আমার ভাবনার সঙ্গে যুক্তি আছে। যে যুক্তি অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না, আমি তাঁকে গিয়ে জোর করতে পারি না। তিনমাস আগে তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন, এখন পারছেন না, কেন পাচ্ছেন না এটা কিন্তু আমি জিজ্ঞেস করতে পারি না। এবং তিনিও আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন না যে কেন আমি আছি এটার মধ্যে। কারণ? তাঁকে আমার সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে, যুক্তি তক্কো করতে হবে। আমার মনে হয়েছে যে দাবিগুলো রাখা হয়েছে সেগুলো সৎ দাবি। আমার কাছে সেগুলো ন্যায্য তাই আমি আমি এখানে।"