রাজ্যের রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কোনও ইস্যুতে এর আগে বুদ্ধিজীবীরা কখনও মুখ খুলে আবার কখনও বা চুপ থেকে, বিতর্কের শিকার হয়েছেন। সাম্প্রতিক অতীতেই বাংলার অস্থির পরিস্থিতি নিয়ে নিরব বিশিষ্টজনদের বাংলার মানুষ ছেড়ে কথা বলেননি। নেটদুনিয়ার নীতিপুলিশদের একাংশ এমনকী এও দাবি করে যে, 'বুদ্ধিজীবী' শব্দটাই একপ্রকার গালিগালাজ। তবে এবার TET-ইস্যুতে যেভাবে বাংলার শিল্পীরা গর্জে উঠেছেন, তা মমতা-জমানার আগে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কথা মনে করালো, এমনটাই বলছেন নেটপাড়ার একাংশ। সেই TET-কাণ্ডেই এবার সরব অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
অনির্বাণের কথায়, "এই যে শিল্পীরা যাঁদের বুদ্ধিজীবী বলে গালি দেওয়া হয়, তাঁরাও তো ধিক্কার জানাচ্ছেন। এবার তাঁরা ধিক্কার খাবেন।…" এখানেই অবশ্য থেমে থাকেননি অভিনেতা-পরিচালক। পাশাপাশি তিনি এও যোগ করেন যে, "কোনও যোগ্য লোক কি প্রাপ্য পাচ্ছেন এই রাজ্যে, এই দেশে? যে আজ হঠাৎ পাবে! এটা তো দীর্ঘ ইতিহাস। যাঁদের প্রতিবাদ করার তাঁরা করছেন। যাঁদের সংবিধানের উপর আশ্বাস আছে, তাঁরা একভাবে প্রতিবাদ করছেন, যাঁদের নেই তাঁরা আবার আরেকভাবে করছেন। তবে কোনও বিশিষ্ট মানুষ হিসেবে নয়। সাধারণ একজন মানুষ হিসেবেই চাইব যোগ্যরা প্রাপ্য সম্মান পাক। যেন কোনও অন্যায় না হয়।"
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় অনির্বাণ এও বলেন যে, "সব জায়গায় যেন এমন সরকার থাকে যাঁরা যোগ্য, পিছিয়ে পড়া মানুষকে আলো দেখাবেন। যে চিঠিতে সই করেছি, তাতে এই ঘটনাকে ধিক্কার জানানো হয়েছে। তবে অসাংবিধানিক ঘটনা এই প্রথম নয়।"
<আরও পড়ুন: ‘ধিক্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! মাশুল গুনতে হবে..’, মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি ঋদ্ধির>
প্রসঙ্গত, রাজ্যের টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা ৮৪ ঘণ্টা ধরে সল্টলেক করুণাময়ীতে অনশন রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছিল তাঁদের আন্দোলন। তবে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশি তৎপরতায় একপ্রকার টেনে-হিঁচড়ে বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেয় পুলিশ। সেই প্রেক্ষিতেই সরব হয়েছেন বাংলার বিদ্বজ্জনেরা। ইতিমধ্যেই অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধিদের মতো তারকারা আওয়াজ তুলেছেন, এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।