Anirban Bhattacharya: ইন্ডাস্ট্রির বুকে যে অভিনেতারা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনির্বাণ ভট্টাচার্য অন্যতম। তিনি নিজের অভিনয় দক্ষতা তো বটেই তাঁর সঙ্গে সঙ্গে পরিচালক হিসেবে কিংবা থিয়েটারের গায়ক হিসেবেও তিনি দারুণ জনপ্রিয়। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে এক আলোচনা। তাঁকে নাকি ফেডারেশনের তরফে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে গায়ক যদিও বা খুব বেশি কিছু ভাবছেন না।
কারণ, সোজা ভাষায় তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন, "কে কাকে বয়কট করল? এত সোজা কাউকে বয়কট করা। আমি কাজ করে যাব। আমায় কেউ থামাতে পারবে না।" কিন্তু অনির্বাণ নিজের কথার কারণে মাঝেমধ্যেই চূড়ান্ত ফাঁসেন। তাঁর ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্য অনেকেই তাঁকে আঁতেল বলেন। অনির্বাণ ছাড়াও আরও যিনি এই শব্দটি শোনেন, তাঁরা হলেন ঋদ্ধি সেন এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে অনির্বাণ বলেন..
Riddhi Sen: 'আমি আঁতেল না, লোকে পশ্চাৎপক্ক বলে', অকপট ঋদ্ধি সেন
"লোকে আমাকেও আঁতেল বলছে নাকি আজকাল? তাহলে ঋদ্ধি আর পরমের সঙ্গে মেশা বন্ধ করতে হবে। আমায় কিন্তু, কম কেউ বলত না। আমায় সকলে বেশ ভালভাবে নিয়েছিল। আমায় কেউ জামাই ভেবে ভালবাসতেন। কেউ স্বামী ভেবে উপদেশ দিয়ে যেতেন। আমার ইমেজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।" থামলেন না তিনি এখানেই। ঠোঁটকাটা হওয়ার কারণেই কি নানা সমস্যা হচ্ছে? এরপরই অনির্বাণ আসল কথা বলে বসেন। কী কী বলছেন তিনি?
"খুব সাজিয়ে কনস্ট্রাকশন করে কথা বলা থেকে না একটা পাওয়ার জেনারেট হয়... আর যখনই তোমার কথা থেকে একটা পাওয়ার সৃষ্টি হয় উল্টো দিকের মানুষটা ভাবে যে সেটা হয়তো তার কাছে থ্রেটের সমান। সে ভাবে আমাকে অপমান করছে। আমি বা ঋদ্ধি কিংবা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, আমরা যদি খুব অগোছালো শব্দে কথা বলতাম তাহলে আমাদের কথা থেকে কোন পাওয়ার জেনারেট হতো না। আমি একটা জিনিস বলছি, আমার সম্যক জ্ঞানে, আমি যতটুকু বুঝি আমি সেটাই বলছি সবকিছু আমি বুঝিনা। আমরা কমপ্লিকেটেড ভাবে সবকিছু বলি না। আমরা আমাদের কাজ নিয়ে এবং ক্রাফট নিয়ে কথা বলছি সেই কারণে আমরা গোটা গোটা অক্ষরে কথা বলছি। সেটা ভালো কনস্ট্রাকশন করতে পারছি, কারন আমরা মন দিয়ে পড়াশোনা করেছি বাংলা ভাষা সম্পর্কে জেনেছি। পাঠা যদি কেউ আমাকে পাকা বলে তাহলে আমি পাকা।"