/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/lead-44.jpg)
বাঁদিকে পি কে বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও ডানদিকে অনির্বাণ চক্রবর্তী। ছবি: ফেসবুক পেজ থেকে
P K Banerjee, Web Series, Anirban Chakraborti: ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উপলক্ষে তৈরি হচ্ছে জিফাইভ অ্য়াপের ওয়েব সিরিজ 'কৃশানু কৃশানু'। ভারতের মারাদোনা কৃশানু দে আর ইস্টবেঙ্গল প্রায় সমার্থক ওই ক্লাবের সমর্থক ও ফুটবল-প্রেমীদের কাছে। তাই কৃশানু দে-কে কেন্দ্র করে সত্তর-আশির দশকের বাংলার ময়দানকেই পর্দায় নিয়ে আসবে এই সিরিজ। আর ওই সময়ে পি কে বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ছাড়া অসম্পূর্ণ বাংলার ফুটবল। তাই সিরিজে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সেই চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তীকে।
অনির্বাণ চক্রবর্তীর অভিনয় জীবন শুরু থিয়েটারের মঞ্চে, প্রায় দু'দশক আগে। একাধিক দলের বহু জনপ্রিয় থিয়েটার প্রযোজনায় কাজ করেছেন তিনি। 'মুখোমুখি' প্রযোজিত 'ঘটক বিদায়', 'শোহন' প্রযোজিত 'আধা আধুরে', কলকাতা প্র্য়াক্সিস-এর 'আর্ট'-- অনির্বাণ অভিনীত সাম্প্রতিক নাটকগুলির অন্যতম। 'চেতনা' নাট্য়গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন বহুদিন। 'গোপাল অতি সুবোধ বালক' ও 'কাচের পুতুল'-- প্রযোজনা দু'টিতে তাঁর অভিনয় উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু বাংলার দর্শকের কাছে অনির্বাণ সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়েছেন 'একেনবাবু' চরিত্রটির জন্য়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/inside-11.jpg)
আরও পড়ুন: বেড়াতে গিয়ে মার্কিন দেশে বাংলা ছবি বানালেন দেবপ্রতিম
হইচই-এর ওই জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজের মুখ্য় চরিত্রের অভিনেতাকেই দেখা যাবে পি কে বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের চরিত্রে, এমনটাই জানা গিয়েছে টেলিপাড়ার বিশ্বস্ত সূত্রে। সোমবার ১৭ জুন থেকে শুরু হয়েছে এই ওয়েব সিরিজের শুটিং। কলকাতার ইস্টবেঙ্গল মাঠে এই সিরিজের অনেকটা অংশ শুট করা হবে। পি কে বন্দ্য়োপাধ্য়ায় শুধু বাংলার নন, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় ফুটবলের একজন প্রধান মুখ। ভারতের হয়ে ৮৪টি ম্য়াচ খেলেছেন তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে।
আরও পড়ুন: বড় হয়ে গেল সুফি! আসছে নতুন সিজন
তিনি হলেন ভারতের প্রথম অর্জুন পুরস্কার প্রাপকদের অন্য়তম। ১৯৯০ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী-তে সম্মানিত করে ভারত সরকার। ২০০৪ সালে তাঁকে অর্ডার অফ মেরিট প্রদান করে ফিফা। এমন একজন লিভিং লেজেন্ডের চরিত্রে অত্যন্ত দক্ষ অভিনেতার প্রয়োজন ছিল এবং অনির্বাণ চক্রবর্তীর কাস্টিং নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য।