Advertisment
Presenting Partner
Desktop GIF

Anirban Chakrabarti: সন্তোষ দত্তর সঙ্গে আমার মিল বোধহয় টাকের, অভিনয়গত ধরণ তো একদম আলাদা : অনির্বাণ চক্রবর্তী

Anirban Chakraborti as Eken Babu: পুরোপুরি একেন রিলিজ করার আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা কথা বলেছিল পর্দার একেনবাবু অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে।

author-image
Anurupa Chakraborty
New Update
anirban chakraborty as eken babu

অনির্বাণ আবারও আসছেন একেন বাবু হিসেবে, তাঁর আগেই নানা কথা বললেন... Photograph: (Instagram)

বাংলা গোয়েন্দা বিভাগে এমন কিছু আকর্ষণীয় গল্প আছে যেগুলো কিন্তু আদ্যোপান্ত থ্রিলার - সাসপেন্স এবং অবশ্যই খুব সিরিয়াসনেসে ঠাসা। গোয়েন্দা চরিত্র ঠিক কেমন? চোখে চশমা, লম্বা কোট, কিংবা ধুতি সঙ্গে একটা বন্দুক, দরাজ গলা, বাঙালির কাছে ফেলুদা এবং ব্যোমকেশ নিজের নিজের জায়গায় চিত্রিত আছেন। কিন্তু... প্রসঙ্গে যখন একেন বাবু...

Advertisment

ফের আসতে চলেছেন তিনি। আর তাঁর রহস্যের অনুসন্ধান করা মানেই রোমাঞ্চ তো বটেই তবে তাঁর সঙ্গে রসবোধ নেহাতই কম থাকবে না। পুরোপুরি একেন রিলিজ করার আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা কথা বলেছিল পর্দার একেনবাবু অনির্বাণ চক্রবর্তীর সঙ্গে।

একেন বাবু কেন আপনার মনের এত কাছের?

কারণ, এটা আমার প্রথম করা মেজর ক্যারেক্টার। এটা দিয়েই আমাকে প্রচুর মানুষ চিনেছেন। তারপর, বাকি অনেক ছবিতে, সিরিজে কাস্ট হয়েছিলাম। আর আগে থিয়েটার করতাম। সত্যি বলতে গেলে, সবাই তো থিয়েটার দেখেন না। তাই এই চরিত্রে আমি পরিচয় পেয়েছিলাম। এছাড়াও, আমি এই চরিত্রটা বহুবার করেছি। এবার নিয়ে দশবার। প্রচুর মানুষ ভালবেসেছেন একেন বাবুকে।

Advertisment

অনির্বাণকে নামে কজন চেনেন, আর কজন একেন বাবু হিসেবে চেনেন?

এটা না আমি হিসেবে করে দেখিনি। তবে, প্রথমদিকে সকলে একেন বাবু হিসেবেই চিনত। তারপর যখন ভিন্ন চরিত্র করতে শুরু করলাম, তখন সবাই নাম জেনেছেন। ৬ বছর হয়ে গেল। অন্য চরিত্র দর্শক যখন দেখেছেন তাঁরা পছন্দ করেছেন। আমার কাছে আমার নামটা আসল পরিচয়, আর একেন ভালবাসার পরিচয়।

অভিনেতা অনির্বাণ নয়, বাঙালি দর্শক হিসেবে আপনার কাছে ঠিক কী কী থাকলে একটি গোয়েন্দা গল্প আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে?

আমরা ছোটবেলায় যে গোয়েন্দাদের চিনতাম, মানে ফেলুদা বা ব্যোমকেশ, যদিও তাঁরা কিন্তু ভিন্ন ধরনের, কিন্তু একটা সিরিয়াস বিষয় ছিল। ফেলুদা বাচ্চাদের কথা ভেবে লেখা। কিন্তু ব্যোমকেশ বড়দের গল্প। সেজন্য তাঁর কেসগুলোর বিচার আলাদা। একেন আলাদা কারণ, এরকম মজাদার চরিত্র সহজে গোয়েন্দা বিভাগে হয় না। একদম উদ্ভট। এইরকম কম্বিনেশনের মানুষ হয় না। একদম বাঙালি রিলেটেড একটা মজা আছে। ছেলে মানুষ খুব, আবার মাঝে মাঝে কিছু এমন কান্ড করে বসে। খুব সেয়ানা, কিন্তু খুব বুদ্ধি ধরেন। আবার এনাকে দেখে বোঝা যায় না যে গোয়েন্দা। আসলে, গোয়েন্দাদের কিন্তু একটা হিরোয়িক ভাব আছে। এই লোকটাকে দেখলে কিন্তু বোঝা যায় না। মনে হয় পাশের বাড়ির মানুষ। খেতে ভালোবাসে। ভীষণ মিক্সচার।

অনির্বাণের জীবনে যদি কোনও ঘটনা ঘটে, রহস্য উদঘাটন করতে কার দ্বারস্থ হবেন, ফেলুদা না একেন বাবু?

এই রে! এটা বলা মুশকিল। তবে হ্যাঁ, আমি তো একেন বাবুর দিকে হেলে থাকব। কারণ, উনাকে যদি আমি নিয়ে আসি তাহলে উনি একদিকে যেমন কেস সলভ করবেন, তেমন বিনোদন থাকবে তাতে। এটুকু তো মজা পাবই ওরম টেনশনের মধ্যেও।

বড়দিনে তিনটি বিগ রিলিজ, দুটি ছবি এবং একটি সিরিজ, একসঙ্গে এতগুলো প্রজেক্ট, সবকটা সাকসেসফুল, এটা দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়? সাফল্য মনে হচ্ছে?

দায়িত্ব তো বাড়িয়ে দেয়। তিনটে একই সঙ্গে বেরিয়েছে। আলাদা ধরনের চরিত্র। এবং সকলে যে ভালবেসে সেগুলো দেখছেন এটা পাওয়া। তিনটি ভিন্ন ধরনের চরিত্র আমি যে পোর্ট্রে করতে পেরেছি, একটার সঙ্গে আরেকটার মিল নেই। এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া। কেউ দেখে এটা বলছেন না যে চালচিত্র দেখতে গিয়ে মান্ডির মত লাগছে বা ফেলুদাতে চালচিত্র মনে হচ্ছে। তাঁরা যে আমার অভিনয়কে কদর করছেন, আমার কাছে এটা সাফল্য। ভাল তো লাগছে খুবই। কারণ, ছবি চলছে! মানুষ কথা বলছে। মানুষ হলমুখী হয়েছেন পুজোর সময় থেকে। আমরা ভাবছিলাম, চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু, পুজো থেকে বহুরূপী যেভাবে মানুষকে আনন্দ দিয়েছে। এবং আমরা খুব খুশি, যে ভিন্ন টেস্টের ছবি আমরা দর্শকদের দেখাতে পারছি।

আপনি কি জানেন আপনাকে অনেকে সন্তোষ দত্ত মিনি ভার্সন বলে ডাকে?

শুনেছি, অনেকেই বলেন। আমার সঙ্গে সন্তোষ দত্তর নাকি মিল পান। আমি নিজে যদিও একটুও মিল পাই না। উনার মুখের গড়ন আমার মুখের আদল আলাদা। কিন্তু আমার মনে হয় টাকের ধরন, কিংবা চেহারার গড়ন দেখে হয়তো অনেকেই ভাবেন। তবে, অভিনয়ের ধরন একদম আলাদা। এখন এমন একজন কিংবদন্তীর সঙ্গে যদি আমার তুলনা হয়, তাহলে বলব আনন্দ তো হবেই। অন্যের গ্লোরিতে আনন্দ হয়। আমার নিজের আলাদা লাগে।

সৃজিত মুখোপাধ্যায় বললেন, যে তিনি আর ফেলুদা করবেন না! জটায়ুকে মিস করবেন?

অবশ্যই করব। কেন করব না। আমি তো চরিত্রটা ভাল করেই করছিলাম। সৃজিত কেন করবে না, সেটা কিন্তু ও জানিয়েছে। এটা সম্পূর্ন ওর সিদ্ধান্ত। প্রযোজনা সংস্থার সিদ্ধান্ত। সেখানে আমার কিছু বলার নেই। যদি আরও ফেলুদা বানাতো তাহলে আমি নিশ্চই করতাম। এবং যদি পরে ডিসিসন পাল্টে ফেলে তাহলে আমি চাইব যেন আমায় আবার ডাকে।

এমন কোনও চরিত্র যেটা আপনার কাছে আফসোসের জায়গায়?

না! আজ অবধি সেটা হয়নি। কারণ, আমি কোনও ছবি করার আগে ভাল করে জেনে বুঝে নি। এবং তাঁর থেকেও বড় কথা, আমার প্ল্যানিং থেকে যায়। চরিত্রে অভিনয় করার কারণ খুব পরিষ্কার আমার কাছে। কিন্তু, সবসময় হয়তো সব কারণ মেলে না। তবে, কোনও কারণ ই স্পষ্ট নয়, সেরকম কাজ আমি করি না।

ইন্ডাস্ট্রির বুকে অন্তর্দ্বন্দ্ব, একটা ছবির সফলতায় নানা মন্তব্য বা আলোচনা, এটাকে অভিনেতা হিসেবে কিভাবে দেখেন?

দেখো, প্রথম কথা হচ্ছে, একসঙ্গে চারটে ছবি রিলিজ করবে, এবং চারটা ছবি অত্যন্ত ভালো ব্যবসা করবে এটা হয় না। আমরা কাউকে শিখিয়ে দিতে পারি না যে তারা কোন ছবিটা দেখবেন বা দেখবেন না। ছবিতে কাজ করা আমাদের কাজ হচ্ছে চারটে ছবি বানানো, একটা ভালো কাজ দর্শকদের সামনে প্রেজেন্ট করা। এবার কে কোনটা দেখবেন, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। যদি কারো তিনটা ছবি দেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে তিনি বিচার করবেন কোনটা আগে দেখবেন কোনটা পরে দেখবেন। আমরা শুধু আমাদের প্রচার টুকু করব। এবার সেই ছবির খাতিরে কেউ কাউকে কোন মন্তব্য করেছেন, কতটা করেছেন কি ভাবে করেছেন তা কিন্তু অনেক সময় আমরা বুঝতে পারিনা। তবে আমার মনে হয় একজন ব্যক্তি যা বলে থাকেন তার থেকে বেশি রটানো হয়। সে ব্যক্তি কখন কি বলেছেন, কোন মুডে বলেছেন, এটা কিন্তু আমরা জানি না। আমি ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে দেখেছি কারো সাথে কথা বললে, হয়তো আমি ১০০ টা কথা বললাম কিন্তু আমার একটি উক্তি ধরে এমন একটি হেডলাইন বানানো হলো, যেটা শুনতে খুব মুখরোচক লাগে। সুতরাং কে কী বলল সেটা নিয়ে ভেবে লাভ নেই।

Anirban Chakraborty Eken babu
Advertisment