অঙ্কুশ হাজরা যখন কারওর সামনে ক্যামেরা ধরেন, তখন অদ্ভুত কিছু মন্তব্য করে বসবেন এটাই স্বাভাবিক। আর হলো তাই। যে বন্ধুদের সঙ্গে রসিকতা করতে ছাড়েন না তিনি প্রেমিকা ঐন্দ্রিলাকে ছেড়ে দেবেন? নিশ্চই না! যা কান্ড করলেন...
আসলে ঐন্দ্রিলা নিজের দক্ষতায় একটু রান্না করতে গিয়েছিলেন, সেটা নিয়েই অঙ্কুশ শুরু করলেন রসিকতা। তাঁকে এমন এমন কিছু বললেন, যাতে হেসে খুন নেটপাড়া। অভিনেত্রীকে সামনে পেয়ে তাঁর কাজের প্রশংসা তো দূর বরং তিনি নায়িকার স্বভাব নিয়ে হাজারটা কথা বলেন। এমনকি এও বলেন, ঐন্দ্রিলা একটু বেশি বেশি দেখাতে ভালবাসেন।
উইকেন্ডে পেটপুজো খুব স্বাভাবিক ঘটনা। আর সেটা যদি কাছের মানুষ রান্না করে তাহলে তো কথাই নেই। অভিনেত্রীকে দেখা গেল একদম পরিপাটি করে রান্না করতে বসেছেন। চিকেনের কোনও প্রিপারেশন সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অভিনেত্রীর সামনে অঙ্কুশ ক্যামেরা ধরলেন। ঐন্দ্রিলা তখন মাংসের কিমা করতে ব্যস্ত। অঙ্কুশ বললেন...
“ওর একটা স্বভাব বলে দি, হয়তো রান্নাটা খুব সোজা। কিন্তু ও দেখাবে খুব কঠিন, কেউ করতে পারবে না। প্রচণ্ড কঠিন কিচ্ছু। জাস্ট ক্রেডিট নেওয়ার জন্য। হয়তো রান্নাটা খুব সোজা।” প্রত্যুত্তরে, ঐন্দ্রিলা বলেন, “তাহলে তুমি করে দেখাও। তুমি পারো তো করো।” অঙ্কুশ ছাড় দিলেন না নায়িকার বোনকে। সে মেঝেতে বসে পেয়াঁজ কাটতে ব্যস্ত। তাঁকে বঞ্চনার সুরেই অঙ্কুশ বলেন, "তোর দিদি তো আগে এগিয়ে গেল, তুই এখনও পেঁয়াজ কাটছিস?" উত্তরে সে বলে, "হ্যাঁ, কারণ আমি আলুর পরোটা বানাচ্ছি।"
দুজন রাঁধুনিকে যেভাবে বিরক্ত করে গেলেন তিনি, ঐন্দ্রিলা যেন তিতিবিরক্ত। সবশেষে প্রেমিককে আরেকবার লেগপুল করতে ভুললেন না। সোজা বলে বসলেন, ওকে দেখতে যেমনই হোক, রান্না কিন্তু ভাল করে। অন্যদিকে, শালীর সঙ্গে মশকরা করবেন না এও হয়। ঐন্দ্রিলা রান্নায় পাশ করেছেন একথা ঘোষণা করেন অঙ্কুশ নিজেই। কিন্তু, তাঁর বোনের উদ্দেশ্যে বলেন, "তোর দিদি পাশ করেছে, তোকে দিয়ে মনে হয় আর হবে না।"
এদিকে, নায়িকাকে এত কাজ করতে দেখে টলিপাড়ার শোরগোল। রান্নাঘর খ্যাত সুদীপা বললেন, "কত কাজের মেয়ে আমাদের, চোখ জুড়িয়ে গেল।" আবার তৃণা বলছেন, খাওয়াবে কবে?