মঙ্গলবার রাতে অঙ্কুশ (Ankush Hazra)-ঐন্দ্রিলার (Oindrila Sen) বহুদিনের ছায়াসঙ্গী বাপ্পার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর কাঁকুরগাছির বাড়ি থেকে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন বাপ্পা। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েক মাস ধরেই টাকা চেয়ে হুমকি ফোন আসত তাঁর কাছে। সেই চাপের বশেই কি আত্মহত্যা করলেন বাপ্পা? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে ষড়যন্ত্র? সেই রহস্য উদঘাটন করতেই এবার ময়দানে নামল পুলিশ।
Advertisment
বুধবার অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার সহকারীর রহস্য মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল শুরু হয় নেটদুনিয়ায়। পরিবারের অভিযোগ, নিয়মিত টাকা চেয়ে হুমকি দেওয়া হত পিন্টু ওরফে বাপ্পা়কে। তার জেরেই নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। অন্যদিকে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, গত দেড় মাসে দফায় দফায় মোট ৩০ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে অজ্ঞাত কাউকে পাঠানো হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার মত, এই হুমকি ফোনের কথা আগে থেকে জানলে পদক্ষেপ করা যেত। তাহলে আর আজকে তাঁদের বহুদিনের ছায়াসঙ্গীকে এভাবে হারাতে হত না। অভিনেতার কথায়, বাপ্পাদা যখনই টাকা চেয়েছেন দিয়েছি। এত ভাল মানুষ, কখনও কোনও খারাপ কাজ করতে পারেন বলে মনেই হয়নি। ভেবেছিলেন ধার শোধ করার জন্যই টাকা চেয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছায়াসঙ্গীর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শোকবার্তা জ্ঞাপন করেছেন তাঁরা।
Advertisment
মঙ্গলবার দেহ উদ্ধার হওয়ার পরে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাপ্পার ময়নাতদন্ত হয়। বুধবার সকালে পিন্টুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশি সূত্রে খবর, তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েই যে পিন্টু মানসিক চাপে ভুগছিলেন, প্রাথমিক তদন্তে এমন ঘটনাই উঠে এসেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।