Antara Mitra Trolled: ইন্ডাস্ট্রির বুকে তো কত ঘটনাই ঘটে। কিন্তু, অনেককিছুই অধরা থেকে যায়। অর্থাৎ? যারা নাকি রুপোলী জগতের সঙ্গে যুক্ত, তারাই জানেন এখানে আসলে কী ঘটছে। এমনই এক অভিযোগ উঠেছে অন্তরা মিত্রকে নিয়ে।
শিল্পীকে নিয়ে নানা আলোচনা চলছে, সারেগামাপার মঞ্চে। যেদিন থেকে তিনি বিচারকের আসনে বসেছেন, তাঁর বিচার করা মন্তব্য নিয়ে নানা সমালোচনা হচ্ছে। কেউ বলছেন, তাঁকে দেখে মনে হচ্ছে নিজেকে শ্রেয়া ঘোষাল ভেবে ফেলেছেন। আবার কেউ বলছেন, হাবভাব এমন যেন কত কী? মছলন্দপুরের মেয়ে অন্তরা, মুম্বাই পৌঁছে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
একের পর এক হিট গান গেয়েছেন তিনি। কিন্তু, নিজের পরিচয় তৈরি করা তাও আবার মুম্বাইয়ের বুকে নেহাত সহজ ঘটনা না। তবে, অন্তরার প্রতিভাকে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে এবার তাঁর করা সমঝোতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এক মহিলা। প্রথমে এই দিয়েই শুরু হল, যে নিজেকে কী এমন ভাবেন তিনি। তারপর কেউ বললেন, "এই অন্তরা নাকি বিচারক? যে নিজেই ঠিকমতো ভালো গাইতে পারেনা, সত্যিই করে ওর কি এক্সট্রা কোয়ালিটি আছে বলুন তো?"
তারপরেই সেই মহিলা শুরু করলেন বেশ কিছু এমন কথা, যাতে অবাক হতে হয়। নিজেকে শিল্পী বলা সেই ব্যক্তি সমাজ মাধ্যমে অভিযোগ তুলে বলেন...
"সব কিছুই মানলাম, কিন্তু মুম্বাই তে উনি এমন কি প্লেব্যাক করেছেন যে এতো হাই ফাই ভাব হয়ে গেছে, কতো টাকা পারিশ্রমিক পায়? এই গানের জগৎ যতটা উপর দিয়ে দেখতে লাগে সেরকম না, সামান্য বাপ্পী লাহিড়ীর সাথে স্টেজ প্রোগ্রাম করাবে বলে তার এসিস্ট্যান্ট কুপ্রস্তাব দেয় যারা রাজি তারা উপরে উঠেছে, আর যারা সমঝোতা করতে পারেনা তারা আমার মতো ঘরের বউ হয়ে থাকতে হয়। আমি নিজে একজন গানের শিল্পী হয়ে বলছি, যারা এখনও এই লাইনে স্ট্রাগল করছে তারা সবথেকে ভিতরের অন্ধকার টা জানে। তাই অন্তরা খুব সোজা পথে আর শুধু ট্যালেন্ট দিয়ে এতো বড়ো জায়গা পায়নি, কারণ অন্তরার মতো এরকম অনেক ট্যালেন্ট হয়তো ওর থেকেও বেশী আছে তারা হারিয়ে গেছে, যেমন নিহিরা বলে একটি মেয়ে ছিল, অসাধারণ গাইত, সারেগা মা পা তে ছিলো, ইসমাইল দরবার তাকে দিয়ে গান করিয়েছিল, তারপর সালমান আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সালাম এ ইশক মুভিতে টাইটেল সং টা ওই করেছিল, আর সোনু নিগম, কিন্তু আজ আর কোনো লাইম লাইট এ নেই, লাস্ট দেখেছিলাম দশ বছর আগে, তখন ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। দুঃখ লাগে এভাবে কতো সিঙ্গার নিজের আত্মসম্মান বাঁচানোর জন্যে গান ছেড়ে দেয়।"
তাঁর এই ভয়ঙ্কর অভিযোগ শুনে অন্তরা যেন স্তম্ভিত। তাও নিজেকে শান্ত রাখলেন। তিনি বলছেন, "ভালো থাকবেন । সংগীত আপনার জীবনে যখন আছে তার মানে আপনি সাধারন তো নন । হতাশা জীবনের অনিবার্য অঙ্গ। আমার উত্থান কে সমালোচনা করে যদি আপনার কষ্ট কিছু টা লাঘব হয়, তাহলে ক্ষতি কি ! আপনার সংগীত এবং মনন দুইয়ের উন্নতি কামনা করি। প্রনাম নেবেন।"
যদিও, একথা অস্বীকার করার নয়, যে বিচারকের আসনে যিনি বসবেন, তাঁকে বিচার করতে গেলে একটু কাটা কথা বলতেই হবে। কিন্তু, অন্তরা যে ধরণের সমালোচনা সহ্য করছেন, তাতে নানা প্রশ্ন থেকেই যায়।