গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পরই শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikary) কাঠগড়ায় তুললেন পরিচালক অনীক দত্ত। 'বীরভূমের বাহুবলী'র গ্রেপ্তারি নিয়ে তুমুল শোরগোল! টানা কয়েক ঘণ্টা টানাপোড়েনের পর বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ওদিকে অনুব্রত মণ্ডল, পরপর তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার গ্রেপ্তারির পর এবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি অনীক দত্তর (Anik Dutta)।
অনীক বরবরাই বামপন্থী মনোভাবাপন্ন। বাংলায় বামশিবির শিথিল হলেও আগাগোড়াই তিনি বামদলের হয়ে তৃণমূল, বিজেপিকে তুলোধনা করতে পিছপা হন না। এবারও তার অন্যথা হল না। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নারদা স্ট্রিং অপরেশনে শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেইসময়ে শুভেন্দু রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীও ছিলেন। পাশাপাশি একাধিক তৃণমূল নেতাও জড়িয়েছিলেন নারদা-কাণ্ডে। সেই পুরনো প্রসঙ্গ টেনেই টলিউড পরিচালক এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন।
বছরখানেক বাদে এবার একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার সুতোতে ইডি, সিবিআইদের মতো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার টান পড়লেও শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু দিব্যি রয়েছেন, মত রাজনৈতিকমহলের একাংশের। পার্থ-অনুব্রত গ্রেপ্তার হলেও শুভেন্দু ইডি-সিবিআই তদন্ত থেকে বাদ কেন? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, "তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দু যে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলবদলে বিজেপি শিবিরে গিয়ে সেসব অতীত রেকর্ড কি মুছে গেল?" প্রশ্ন তুলেছেন বাম শিবির সমর্থকদের একাংশ। এবার সেই প্রসঙ্গেই শুভেন্দু অধিকারীকে টেনে অনীক দত্তর দাবি, "শুভেন্দুকে ED, CBI ধরছে না কেন?"
পরিচালক অনীক দত্তর মন্তব্য, "এখন একজনই রয়ে গেছে চোরের দলে। আচ্ছা শুভেন্দু কাদের হয়ে, কাদের জন্য অপকর্মগুলো করেছিল? ED, CBI ধরছে না কেন?"
এখানেই অবশ্য শেষ নয়। কেষ্টার গ্রেপ্তারির পর অনীক দুই ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে চরম ব্যঙ্গ করে এও বলেন যে, "দু'জন নেতা গ্রেপ্তার, দু'জনেই হেভিওয়েট..।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন