ক্রাইম জঁরটি যেমন সিনেমাতে রয়েছে, সাহিত্যেও রয়েছে। অনুরাগ কাশ্যপ কৈশোর থেকেই এই জঁরের প্রতি আকৃষ্ট। ক্রাইম সাহিত্য পড়তে পড়তেই এই জঁরের ছবি বানানোর ইচ্ছাটা তীব্র হয় তাঁর মধ্যে। সম্প্রতি সংবাদসংস্থার সঙ্গে কথোপকথনে তিনি বলেন যে পৃথিবীর সেরা ছবিগুলি সবই অপরাধমূলক ছবি।
কিশোর বয়স থেকেই এই জঁর তাঁর মননে গেঁথে গিয়েছে। অনুরাগ সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানান যে কিশোর বয়সে অপরাধকেন্দ্রিক গল্প-উপন্যাসে ডুবে থাকতেন তিনি। ''আমি মনোহর কানহাইয়া, বেদপ্রকাশ শর্মা, সুরেন্দ্র মোহন পাঠকে ডুবে থাকতাম। আমার কাছে ক্রাইম হল একটা মজার জঁর। ছোট শহরের গোদা একটা ব্যাপার আছে এই জঁরের মধ্যে যেটা আমার ভাল লাগে'', বলেন অনুরাগ।
আরও পড়ুন: টেলিপর্দার সেরা ৫ নায়ক-অভিনেতা ২০১৯
অনুরাগ কাশ্যপ এই জঁরের অত্যন্ত উচ্চ-প্রশংসিত কিছু ছবি উপহার দিয়েছেন ভারতীয় দর্শককে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' বা 'রমন রাঘব ২.০', তেমনই রয়েছে 'আগলি'-র মতো ছবি। তিনি বলেন, ''পৃথিবীর সেরা ১০০টি ছবির মধ্যে প্রথম ১০টি ছবিই কিন্তু অপরাধমূলক। আমি মনে করি সমস্ত মহৎ ছবিই অপরাধমূলক। এখানে 'অন্ধাধুন', 'এক চাল্লিশ কি লাস্ট লোকাল' অথবা 'ডেললি বেলি'-র মতো আরবান পাল্প ছবি হয়েছে। আবার 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর' হল গ্রামীণ পাল্পকে। কিন্তু গ্রামীণ পাল্পকে সেভাবে ভালভাবে এক্সপ্লোর করা হয়নি।''
এই জঁর নিয়ে নতুন একটি কাজ করছেন অনুরাগ। বেশ কিছু অপরাধের গল্পের অডিও উপস্থাপনা পরিচালনা করবেন তিনি 'অডিবল সুনো'-র জন্য। বিষয়টা অনেকটাই রেডিও মির্চি-র 'সানডে সাসপেন্স'-এর মতো। অনুরাগ কাশ্যপের এই প্রকল্পে অভিনয় করবেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী এবং টাবুর মতো অভিজ্ঞ অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এই বিশেষ ফরম্যাটে অভিনয় যে বেশ কঠিন তা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন এবং টাবু।