Anurag Kashyap Hindi Film Industry: বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে যার নাম উঠে আসে তিনি অনুরাগ কাশ্যপ। একাধিক হিট হিন্দি ছবির নির্মাতা অনুরাগ সাম্প্রতিক অতীতে বলেছিলেন বর্তমান প্রজন্মের বাংলা ছবি অত্যন্ত জঘন্য। তাই বাংলা ছবির বক্স অফিসর বাজারও একেবারে তলানিতে। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে 'ঘাটিয়া' বলে কটাক্ষ করতেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। সেসব এখন যদিও অতীত, তবে নতুন করে ফের চর্চায় অনুরাগ। বাংলা ছবির পর এবার হিন্দি ছবিকে ঘিরেও প্রায় একইরকম মন্তব্য করলেন অনুরাগ কাশ্যপ। বলিউডের কাজও তাঁকে হতাশ করছে। Hollywood Reporter India-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই বক্তব্য পেশ করেছেন বম্বে ভেলবেট ছবির পরিচালক।
অনুরাগ কাশ্যপ বলেছেন, 'আমি মুম্বই ছেড়ে চলে যাচ্ছি।' ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাগুলিকে দোষারোপ করেছেন অনুরাগ কাশ্যপ। তাঁর মতে, ওই সংস্থাগুলো প্রতিভার বিকাশে কোনও ভূমিকা পালন করে না। কী করে একজন ভাল অভিনেতা আরও ভাল হবে সেই বিষয়টাকে একেবারেই প্রাধান্য দেয় না। তাঁদেরকে অল্প সময়ে স্টার বানাতে বিশ্বাসী। ইন্ডাস্ট্রির নতুন মুখদের নিজেদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করে। পরে তাঁরা যদি ব্যর্থ হয় তখন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ব্রাত্য করে দেয়।
বিটাউনের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে অনুরাগ বলেন, 'এই মুহূর্তে আমার পক্ষে বাইরে গিয়ে নতুন করে শুরু করা সম্ভব নয়। কারণ আমাকে তো প্রযোজকদের কথাও মাথায় রাখতে হবে। সিনেমা বানানোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা বিষয় মাথায় রাখতে হয় কী ভাবে সিনেমা দর্শকের মনোরঞ্জন করবে। তাই সিনেমা তৈরির ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছে। আমি আগামী বছর দক্ষিণে চলে যেতে চাই। না হলে আমি সময়ের আগেই মরে যাব। নিজের ইন্ডাস্ট্রি নিয়েই ভীষণ হতাশ।'
পরিচালক যোগ করেন, 'Manjummel Boys-এর মতো ছবি কিন্তু হিন্দিতে তৈরি হবে না। কিন্তু, যদি সিনেমাটি সফল হয় তখন হিন্দিতে রিমেক হবে। রিমেকের উপর বলিউডের ভরসা বাড়ছে। নতুন কিছু করার প্রবণতা যেন একেবারে হারিয়ে যাচ্ছে। প্রথমসারির অভিনেতাদের কাছে এটা ভীষণই দুঃখজনক। কেউ এই ধরনের ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হবে না। এজেন্সিগুলো কিন্তু, কাউকে দায়িত্ব নিয়ে স্টার বানায় না। কিন্তু, সে যখন স্টার হয়ে যায় তখন তাঁর জন্য টাকা খরচ করে '।
অনুরাগের মতে, 'প্রতিভা খুঁজতে হবে। প্রয়োজন হলে ৫০ জনের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। সিনেমা তৈরির সময় এজেন্সিগুলো তাঁদেরকে স্টার বানিয়ে ফেলে। রীতিমতো ব্রেনওয়াশ করে বোঝায় কী ভাবে ওয়ার্কশপ না করে শুধু জিমে গিয়ে তারকা হওয়া যায়। গ্ল্যামারাস কিছু কাজকর্ম করলেই বড় তারকা হওয়া যায় এই ধরনের ভুল ভাবনার বীজ মনের ভিতর পুঁতে দেয় '।
হতাশাগ্রস্থ হয়ে অনুরাগের সংযোজন, 'এজেন্সিগুলোর জন্যই পরিচালক আর অভিনেতার মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। পুরনো ঘটনা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, এক অভিনেতা তাঁর কথা না শুনে এজেন্সির উপর ভরসা করেছিলেন। পরে অনুরাগের কাছেই ফিরতে হয়েছিল। আসলে এজেন্সিগুলো সাময়িক অর্থ উপার্জনের পথ দেখায়। কেরিয়ারে সফল হওয়ার রাস্তাটা দেখায় না'।